নিউইয়র্কে গুলিতে নিহত পুলিশ দিদারুলের বাড়ি মৌলভীবাজারে

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত একটি উচ্চ নিরাপত্তার অফিস ভবনে দায়িত্বরত অবস্থায় বন্দুকধারীর গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এনওয়াইপিডি পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম রতনসহ চারজন নিহত হয়েছেন। পরে হামলাকারী নিজেই আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে পার্ক অ্যাভিনিউর ৩৪৫ নম্বর ভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এটি ব্ল্যাকস্টোন, কেপিএমজি এবং এনএফএল- এর সদরদপ্তর হিসেবে পরিচিত একটি উচ্চ নিরাপত্তার ভবন।
নিহত দিদারুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৌর শহরের মাগুরায়। তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করতেন।
ঘটনার পরপরই সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস এবং এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ নিহত পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, দিদারুল ইসলাম রতন তার দায়িত্ব পালনকালেই হামলার শিকার হন। তিনি আরও জানান, নিহত রতনের দুটি সন্তান রয়েছে এবং তার স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। আমরা তাকে যে কাজটি করতে বলেছিলাম, তিনি সেটাই করছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছে।
ঘটনার পর হামলাকারীর গাড়ি থেকে একটি এম-৪ রাইফেল এবং গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি রিভলভার উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে নেভাদা রাজ্যের একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। তবে তার পরিচয় এবং হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত দিদারুল ইসলাম রতনের চাচাতো ভাই মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা দিদারুলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। দিদারুলের পরিবারের সবাই নিউইয়র্কে থাকেন। এই খবর শোনার পর দিদারুলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাই এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমি দেশে থেকে দিদারুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি।