মন্দিরে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় দুটি মন্দিরে চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জন পেশাদার চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে চুরি যাওয়া বিভিন্ন পূজা-অর্চনার সামগ্রীও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা জানান, এটি নিছকই চুরির উদ্দেশ্যে সংঘটিত একটি অপরাধ।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ১২ জুন দিবাগত রাতে বড়লেখার পাখিয়ালা এলাকার শ্রী শ্রী উদ্বব ঠাকুরের আখড়া মন্দিরে এবং ২৬ জুন দিবাগত রাতে দক্ষিণভাগ সার্বজনীন দেবালয় মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় বড়লেখা থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
নোবেল চাকমা জানান, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই চুরির রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু হয়। গোপন সংবাদ ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- রুহেল আহমদ (৩০), আবু তায়েব আহমদ সাজু (২৮), নুর হোসেন (৪০), জাকির হোসেন (৩১), মো. আলাল মিয়া (৩৮) ও শাহ আলী (৪২)।
রুহেল আহমদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বড়লেখার মাধবগুল এলাকায় শাহ আলীর ভাঙারির দোকান ও অন্যান্য আসামিদের বসতবাড়ি থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে- ১১টি পিতলের ঘট, ২টি কাঁসার ঘণ্টা, ২টি পুষ্প থালি, ১টি পিতলের প্রদীপ, ৮টি কাঁসার থালা, ৫টি কাঁসার বাটি, ২ সেট চিপ কোষ ও ১টি পিতলের কলসি। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টি কাটার, ২টি হেক্সো ব্লেড, ১টি হ্যামার, ৩টি ছেলাই রেঞ্জ, ৩টি হাতুড়ি, ২টি রডের টুকরা ও ১টি লাল রঙের জগ জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য দুই লক্ষাধিক টাকা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার অপরাধী এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মন্দিরে চুরির ঘটনায় কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানির প্রমাণ মেলেনি।