ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সেমিনার

ময়মনসিংহে শিশু আইন, ২০১৩ এবং কয়েকটি গুরুতর সামাজিক ব্যাধি, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্য, ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, সেলফোন ও ইন্টারনেটের অপব্যবহারবিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে ময়মনসিংহ রেঞ্চ ডিআইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আইনি জটিলতা এবং পুলিশের অস্পষ্টতার কারণে যেন কোনো নিরপরাধ শিশু তার প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং অপরাধী হলেও কোনো শিশু যেন আইন প্রয়োগের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে সজাগ থাকতে হবে। এ জন্য একজন লিয়াজোঁ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গতকাল রোববার বিকেলে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনস হলরুমে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ এবং সমাজসেবার সহযোগিতায় সেমিনার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মঈনুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক আইজিপি ও বিআরপিওডব্লিউএ সভাপতি এম সহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন সাবেক আইজিপি মো আবদুর রউফ, সমাজসেবা কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
মূল প্রবন্ধকার বলেন, জাতিসংঘ শিশু তহবিল বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি (২০১১) প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহের জন্য বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ইউনিসেফের প্রোগ্রেস ফর চিলড্রেন অ্যাচিভিং দ্য এমডিজিস উইথ ইকুইটি (২০১০) প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সী ৬৯ শতাংশ মেয়ে ও একই বয়সের ৫ শতাংশ ছেলের বাল্যবিবাহ হচ্ছে। পরিসংখ্যান আনুযায়ী বাল্যবিবাহের জন্য মেয়েরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ডিআইজিপি উল্লেখ করেন, সেলফোন ইন্টারনেট, মাদক ও ইভ টিজিং অপরাধ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সেমিনারে পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ৮২ জন উপস্থিত ছিলেন।