বড়হাটে নিহত ‘জঙ্গি নাজমুল, বাড়ি নোয়াখালী’
মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ নিহতদের মধ্যে একজনের নাম আশরাফুল আলম নাজমুল হতে পারে। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এমন তথ্য জানিয়ে মৌলভাবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শাহজালাল আজ সোমবার দুপুরে বলেছেন, ‘এই নাজমুল সিলেটের শিববাড়িতে আতিয়া মহলে অভিযানের সময় বাইরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার মূল হোতা।’
আজ দুপুরেই মৌলভীবাজারের ফতেপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত চার শিশুসহ সাতজনের লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। এই সাতজনের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য।
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের সময় পুলিশ সুপার বড়হাটের ‘আস্তানায়’ নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের পরিচয় তুলে ধরেন। বড়হাটে এক নারীসহ মোট তিনজন নিহত হন। তাঁদের লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’।
‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষে গত ১ এপ্রিল পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সিলেটে আতিয়া মহলের অদূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি আমরা টেকনোলজির মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখেছি, বড়হাট থেকে ওখানে গিয়ে আবার ফিরে আসতে পেরেছিল।’
‘বড়হাটে তিনজন জঙ্গি আছে। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত, এর মধ্যে একজন সিলেটে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। সেই ব্যক্তির নেতৃত্বে, তিনিই ঘটিয়েছেন। সঙ্গে অন্য কেউ থাকতে পারে। সঙ্গে যে পুরুষ নিহত হয়েছেন, তিনিও হতে পারেন অন্য কেউও হতে পারেন। সেটি আমাদের জানা নেই’, যোগ করেছিলেন মনিরুল।
আজকের সংবাদ সম্মেলনেও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল তাঁর বক্তব্যে সিটিটিসিপ্রধান মনিরুলের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করেন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘আতিয়া মহলের হোতা আমরা সন্দেহ করছি এই নাজমুল। সোনাইমুড়ীর একটি পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে পরে এটা শনাক্ত করা যাবে।’
‘অতিয়া মহলে’র অদূরে ওই বোমা হামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ওই অপারেশনের নাম ছিল ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’।