বরিশালে দরপত্র নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি

বরিশালে দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুলসংলগ্ন গণপূর্ত অধিদপ্তরে এ ঘটনা ঘটে।
urgentPhoto
প্রত্যক্ষদর্শী ঠিকাদার রমিজউদ্দিন জানান, বরিশালে নির্মাণাধীন মেরিন একাডেমির একটি বাসভবন নির্মাণের জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগ। গতকাল সোমবার ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। দরপত্র বিক্রির পর থেকেই কাজটি ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগের একটি অংশ।
আজ মঙ্গলবার দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দরপত্র জমা দিতে যান সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর অনুসারী সরকারি বিএম কলেজ ছাত্রকর্ম পরিষদের সহসভাপতি মঈন তুষার। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কক্ষে প্রবেশ করেই দরপত্র জমা দেন আব্দুর রাজ্জাক।
এ সময় মঈন তুষার ছাত্রলীগ নেতা রাজ্জাকের উদ্দেশে বলেন ‘গতকাল রাতে তোমাকে কী বললাম, আর তুমি কী করলে।’
রাজ্জাক বলেন, ‘আমি আমার নেতা সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশ পালন করেছি।’
এ সময় মঈন তুষার কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সাদিক আব্দুল্লাহর উদ্দেশে কটূক্তি করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ভাঙচুর করা হয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়। আতঙ্কিত তত্ত্বাবধায়ক দ্রুত তাঁর কার্যালয় ত্যাগ করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, মেরিন একাডেমির এক হাজার ২৫০ বর্গ ফুট ইমারত নির্মাণের ঠিকাদারি কাজের দরপত্র জমা দিতে আসেন কয়েকজন ঠিকাদার। এ সময় আরো কয়েকজন তাঁর কক্ষে প্রবেশ করলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় তাঁর কক্ষেও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।