থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের উত্তেজনা, গোলাবর্ষণের অভিযোগ

কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে থাইল্যান্ড। এর ফলে দুই দেশের সীমান্ত সংঘাত আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ নেতারা। খবর বিবিসির।
থাই সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্যরাতের পর থেকে গোলাবর্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত কম্বোডিয়ার দিক থেকে ‘একাধিক জায়গায়’ গুলি চালানো অব্যাহত ছিল।
এদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের সশস্ত্র হামলা হয়নি।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেই বৈঠক দুইবার পিছিয়ে গেছে। এটি আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ শত বছরেরও বেশি পুরোনো। গত মে মাসে এই বিরোধ নতুন করে তীব্র হয়। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থেকে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ শুরু হয়। এই সংঘাতে গত পাঁচদিনে অন্তত ৩২ জন নিহত হন। প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ সীমান্ত এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় দেশটিতে বৈঠকে মিলিত হন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাই। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষ তাদের সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যতে সংঘর্ষ এড়াতে এক ধরনের নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজি হয়।