মিয়ানমারে ভূমিধসে ১২ জন নিহত, শতাধিক মাটিচাপা
মিয়ানমারের এক খনিতে ভূমিধসে ১২ জন নিহত হয়েছে। এখনো শতাধিক মানুষ মাটিচাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের হাকান্ত শহরের পার্শ্ববর্তী সবুজ পাথরের খনিতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ভূমিধসের কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এই ঘটনা দেশটির খনি শিল্প কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা প্রমাণ করল।
স্থানীয় পুলিশ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাস্থলের যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় যাতায়াতেও সমস্যায় পড়েছেন উদ্ধারকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং উদ্ধারকারীরা জানান, বৃষ্টির সময় অনেকেই খনি উত্তোলন প্রতিষ্ঠানের ফেলে যাওয়া গর্তে সবুজ পাথর খোঁজেন। এমন কোনো গর্তের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, সোমবার রাতের দুর্ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ মাটিচাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সবুজ পাথরের খনিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে পাকান্ট শহরের কাছে সবুজ পাথর উত্তোলনের খনিতে দুটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনার জন্য অনিয়ন্ত্রিত খননই দায়ী।
বিবিসি জানায়, সবুজ পাথরের খনিতে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা তৈরি হয়। এসব আবর্জনা বড় ট্রাক্টরে করে ফেলে দেওয়া হয়। পাথুরে এই অবর্জনার মধ্যে অনেকেই সবুজ পাথর খোঁজেন।
সুবজ পাথরের জন্য বিখ্যাত মিয়ানমার। বিশ্বের প্রায় সব সবুজ পাথরের জোগানদার এই দেশ। কাচিন প্রদেশের হাকান্ত খনি থেকে প্রতিবছর শতকোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সবুজ পাথর উত্তোলিত হয়। এর মূল বাজার চীন। চীনে সবুজ পাথরকে ‘স্বর্গের পাথর’ বলা হয়।