সোলেইমানির জন্য বাগদাদে মানুষের ঢল, কফিন যাবে কারবালাতেও
ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে জড়ো হয় লাখ লাখ মানুষ। শহরটির প্রধান সড়কেই অবস্থান নেয় ইরাকিরা। ভিড়ের কারণে জেনারেল সোলেইমানির কফিনবাহী গাড়িটিকে এগোতে হয়েছে ধীরে ধীরে।
শুধু বাগদাদ নয় কারবালা ও নাজাফসহ ইরাকের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ সড়কে সমবেত হয়।
নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের আধা সামরিক বাহিনী হাশদ আশ শাবির সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহানদিসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ শনিবার ইরাকের বিভিন্ন শহরে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স, সংবাদ মাধ্যম বিবিসি, সিএনএন ও ইরানি সংবাদ মাধ্যম পার্স টুডে ওই তথ্য জানিয়েছে।
বাগদাদে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস জানিয়েছে, ইরাকের বাসিন্দাদের অনুরোধে জেনারেল সোলাইমানিসহ নিহতদের মরদেহ কারবালা এবং নাজাফে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মানুষ তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
শনিবার ইরানের স্থানীয় সময় বিকালে কাসেম সোলাইমানিসহ নিহত পাঁচজনের মরদেহ ইরানে পৌঁছার কথা রয়েছে। এরপর তাঁদের মরদেহ মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজারে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষে আগামীকাল তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নিজে জানাজা পড়াবেন বলে জানা গেছে।
আগামী মঙ্গলবার নিজ প্রদেশ কেরমানে কাসেম সোলাইমানির লাশ দাফন করা হবে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাওয়ার পথে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের গাড়ি বহরে ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এতে সোলেইমানিসহ আটজন নিহত হন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ওই হত্যাকাণ্ডের কঠোর বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে জেনারেল সোলেইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে। তিনি ইরানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।