ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলি শামখানি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অচিরেই বুঝতে পারবে যে তাদের হামলায় নিহত জেনারেল কাসেম সোলেইমানি জীবিত অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর।’

গতকাল রোববার ইরানে নিজ দপ্তরে সিরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি মামলুকের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন শামখানি। ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে এ খবর জানিয়েছে।

এ সময় শামখানি আরো বলেন, ‘ইরান অবশ্যই এই হত্যাকাণ্ডের জবাব সামরিক উপায়ে দেবে। তবে ইরানের জবাব শুধু সামরিক পদক্ষেপে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’

ইরাকি পার্লামেন্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিল পাসের বিষয়ে ইঙ্গিত করে ইরানের নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান আলী শামখানি বলেন, ‘বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরও ইরাকে মার্কিন সেনা থাকতে পারবে না। যদি থাকে, তবে তারা দখলদার সেনা হিসেবে চিহ্নিত হবে। কারণ, এত দিন ইরাক সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশটিতে মার্কিন সন্ত্রাসী সেনা মোতায়েন ছিল।’

জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুর পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের  পক্ষ থেকে শোক জানাতে তাঁর বিশেষ দূত হিসেবে ইরান সফর করেছেন আলি মামলুক।

ওই সাক্ষাতে মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো অঞ্চলের নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে জেনারেল সোলেইমানির অবস্থান বর্ণনা করতে গিয়ে আলী মামলুক বলেন, ‘কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুতে লেবানন, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানের জনগণ ইরানি জনগণের চেয়ে কম কষ্ট পাননি।’

জেনারেল সোলেইমানি নির্যাতিত জাতিগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন উল্লেখ করে সিরিয়ার বিশেষ দূত বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুর মধ্যদিয়ে ইসরাইলের ধ্বংস ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাধীনতা অর্জনের সূচনা হয়েছে।’