ধর্ষণের অভিযুক্ত ‘ধর্মগুরু’ নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের নোটিশ

ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। একাধিক ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে দেশ ছেড়ে বর্তমানে পলাতক আছেন নিত্যানন্দ। ব্লু কর্নার নোটিশের অর্থ নির্দিষ্ট কোনো অপরাধী সম্পর্কে তথ্য দেওয়া যেকোনো দেশের জন্য বাধ্যতামূলক করা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুজরাট পুলিশের অনুরোধে এই নোটিশ জারি করল ইন্টারপোল। বহুবার সমন জারি করার পরও হাজিরা দেননি নিত্যানন্দ। তাই এ নোটিশ জারি করা হয়েছে।
গত কয়েক মাসে তাকে বিভিন্ন অজানা স্থান থেকে ভিডিওতে বিচিত্র সব দাবি করতে দেখা গেছে। গত মাসে ইকুয়েডর সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, নিত্যানন্দ ইকুয়েডরে আশ্রয় নেননি। তারা এও জানায়, নিত্যানন্দ ‘কৈলাসা’ নামের একটি দ্বীপ সেখানে কিনেছেন— এটিও গুজব।
ভারতের আহমেদাবাদের একটি আশ্রমে শিশুদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে। তাকে খুঁজছে গুজরাট ও কর্নাটকের পুলিশ। এছাড়াও ওই আশ্রমের দুটি মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরও নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
২০১০ সালে নিত্যানন্দকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ধর্ষণের অভিযোগে। এক অভিনেত্রীর সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় এক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়ার অভিযোগও উঠেছিল।
গত ডিসেম্বরে ভারত সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়। এবং তার আবেদনও বাতিল করে দেয়। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভীশ কুমার জানান, বিদেশে নিত্যানন্দকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি একটি ভিডিওতে কথিত এই ধর্মগুরুকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।’
তিনি আরো দাবি করেন, কোনো আদালত তাকে অভিযুক্ত করতে পারবে না। তিনি বলেন,‘আমি আপনাদের সত্যিটা বলতে পারি— আমি পরম শিব। বুঝেছেন? কোনো বোকা আদালত আমাকে অভিযুক্ত করতে পারবে না। আমি পরম শিব।’
৪১ বছর বয়সী এই ধর্মগুরু ঘোষণা করেন, তার দেশকে বলা হবে ‘কৈলাসা’। তিনি এটিকে ‘বৃহত্তম হিন্দু রাষ্ট্র’ বলে দাবি করেন, যে দেশের কোনো সীমানা নেই। একটি ওয়েবসাইটে তিনি ওই দেশ সম্পর্কে তার পরিকল্পনার কথা বলেন। পুলিশ অনেক খুঁজেও নিত্যানন্দের কোনো হদিশ পায়নি।