জন্মহারের তথ্য সংশোধন করল চীন
২০১১ থেকে ২০১৯ সালের জন্মহারের তথ্য পুনরায় সমন্বয় করেছে চীন। ২০২০ সালের শুমারির তথ্য প্রকাশের পর এ তথ্য সমন্বয় করা হলো। মোট জনসংখ্যার একটি ছোট নমুনার ওপর ভিত্তি করে শুমারি করায় নতুন করে তথ্য সংশোধন করা হয়েছে বলে নিক্কেই এশিয়ার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
জনসংখ্যার হার কমে যাওয়ার কারণে পরিসংখ্যানে অখণ্ডতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় চীন তাদের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্যগুলো সংশোধন করা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। ২০২০ সালের শুমারিতে শিশুদের সংখ্যা কীভাবে পূর্ববর্তী বছরগুলোয় হিসাব করা সদ্যোজাত শিশুদের তুলনায় বেশি হলো, সে বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এ উদ্যেগ নেওয়া হয়।
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের মুখপাত্র ফু লিংহুই এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যা, জন্মহার এবং নগরায়নের হার সংশোধনে কাজ চলছে। প্রতি বছরে গড়ে এক মিলিয়ন জন্মহার বাড়বে। সব মিলিয়ে নয় বছর সময়ের মধ্যে জন্মহার ছয় শতাংশ বাড়বে।
ফু লিংহুই আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের জন্মহার সংশোধনের পর আগের নয় লাখ ৭০ হাজার থেকে হয়ে ১৮ দশমিক ৮৩ মিলিয়নে দাঁড়াবে এবং ২০১৭ সালের জন্মহার পূর্ব ঘোষণা করা চার লাখ থেকে ১৭ দশমিক ৬৫ মিলিয়নে দাঁড়াবে।
নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন প্রতিবছর মোট জনসংখ্যার দশমিক এক শতাংশ নমুনা হিসেবে ধরে জনসংখ্যার তথ্য যাচাই করে থাকে। আর প্রতি দশ বছর অন্তর বাড়ি বাড়ি তথ্যসংগ্রহ করে শুমারি পরিচালনা করে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ডেটার অতিরিক্ত মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়নের মতো নমুনা জরিপে অর্ন্তনিহিত কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। তবে শুমারির তথ্য নিজেদের মতো করে তৈরি করার অভিযাগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সাল থেকে চীনে এক-শিশু নীতি বাতিল হওয়ার পর দেশটিতে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার ব্যাপক প্রবণতা সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।