আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানি
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এর আগে দেশটির তালেবান সরকারের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল।
আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় নিখোঁজ রয়েছে বেশ কিছু মানুষ। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কেননা ইতোমধ্যে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু গ্রামের বাড়িঘর ডুবে গেছে। যে দিকেই যাওয়া যায়, দেখা যাবে ভয়াবহ ধ্বংসলীলার চিহ্ন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং মধ্য এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আব্দুল মতিন কানি জানান, বাগলান প্রদেশের বোরকা জেলায় বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরে আটকা পড়েছেন বন্যার কারণে।
স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়েতুল্লাহ হামদার্দ জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যসহ জরুরি বিভাগের লোকজনকে ধ্বংস্তূপ ও কাদার নিচে পড়ে থাকা মরদেহ বের করে আনতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া উপদ্রুত এলাকার লোকজনের মধ্যে তাঁবু, কম্বল ও খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বন্যায় রাজধানী কাবুলে সঙ্গে দেশটির উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী প্রধান সড়কটি বন্ধ রয়েছে।
আফগানিস্তানে গত মাসের প্রলয়ঙ্কারী বন্যার পর নতুন করে আবারও এই বন্যা দেখা দিল। সে সময়ের বন্যায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে দুই হাজারেরও বেশি বাড়িঘর, তিনটি মসজিদ ও চারটি স্কুল ধ্বংস হয়ে যায়। দেশটির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে শহর এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির গ্রামীণ এলাকাতেও আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে।