করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০ ছুঁই ছুঁই
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়া নতুন করোনাভাইরাসে আজ বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০০ জনে পৌঁছেছে। চীন সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশটিতে ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৪৯০ জন মারা গেছেন।
এরই মধ্যে জাপানের একটি জাহাজ এবং হংকং ও থাইল্যান্ডে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাওয়ায় এ ভাইরাস নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে জাপানে একটি যাত্রীবাহী জাহাজে পর্যবেক্ষণে রাখা তিন হাজার ৭০০ যাত্রীর ১০ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে। আরো অনেক পরীক্ষার ফল অপেক্ষমাণ আছে। যাত্রীদের সবাইকে ওই জাহাজে রেখেই ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবোকাটসু ক্যাটু। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যানুসারে, গতকাল মঙ্গলবার আরো ৬৫ জনের মৃত্যুসহ চীনের মূল ভূখণ্ডে ভাইরাসটির উৎসস্থল শহর উহান এবং এর আশপাশে মৃতের সংখ্যা ৪৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া একদিনে নতুন করে আরো তিন হাজার ৮৮৭ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট আক্রন্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে একজন করে দুজনের মৃত্যুসহ ১৮০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে জাপানের ওই জাহাজের ২৭৩ যাত্রীকে পরীক্ষার পর সন্দেহভাজন ৩৩ জনের মধ্যে ১০ জনের মধ্যে ওই ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আজ বুধবার পর্যন্ত থাইল্যান্ডে নতুন করে ছয়জন সংক্রমিত হওয়াসহ দেশটিতে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৫ জন।
হংকংয়ে হাসপাতালের কর্মীরা চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার আন্দোলনের মধ্যেও আরো নতুন করে চারজনের মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে। যাতে বোঝা যাচ্ছে হংকংয়েও এ ভাইরাস ছড়াচ্ছে।
দিল্লিতেও ছড়াচ্ছে করোনা আতঙ্ক। দক্ষিণের রাজ্য কেরালায় এরই মধ্যে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এরপরই করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ‘রাজ্য বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করে কেরালা সরকার।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, তাইওয়ান, ব্রাজিলসহ আরো অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে ফেরত আনার কাজ শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী এমন আতঙ্কের মাঝে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রকোপ থামার কোনো লক্ষণ নেই। আর এটি প্রতিরোধে আশার আলোও দেখাতে পারছেন না কেউ।