পরীক্ষায় সফল স্বনিয়ন্ত্রিত গুলি
স্বনিয়ন্ত্রিত গুলি পরীক্ষা সফল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডারপার তৈরি এই গুলি নিক্ষেপের পর দিক পরিবর্তন করে চলমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে।
এক্সট্রিম অ্যাকুরেসি টাস্কড অর্ডিনেন্স (এক্সাকটো) নামক ডারপার একটি প্রকল্পের অধীনে স্বনিয়ন্ত্রিত গুলি নিয়ে গবেষণা করা হয়। গত বছরই প্রকল্পটি গুলি তৈরির কথা জানিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ডারপার এক্সাকটো প্রকল্পের তৈরি স্বনিয়ন্ত্রিত গুলির লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। তবে সংস্থাটির পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহে এই তথ্য জানানো হয়। গবেষকরা প্রথমে একটি চলমান বস্তুকে লক্ষ্য করে স্বনিয়ন্ত্রিত গুলি ছোড়েন। চলমান বস্তুটি দিক পরিবর্তন করে। স্বনিয়ন্ত্রিত গুলি প্রথমে সোজাসুজি চলা শুরু করলেও নির্দিষ্ট বস্তুটির কাছাকাছি এসে দিক পরিবর্তন করে এবং নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।
ডারপার গবেষকরা জানান, স্বয়নিয়ন্ত্রিত গুলির চলমান কোনো বস্তুকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম। গতানুগতিক গুলি ও স্বনিয়ন্ত্রিতের মধ্যকার অন্যতম পার্থক্য হলো এতে যুক্ত থাকা লক্ষ্য নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি আবহাওয়া, বাতাসের গতি, লক্ষ্যবস্তুর গতিবিধি ও অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দিক পরিবর্তন করে।
ডারপার পক্ষ থেকে স্বনিয়ন্ত্রিত গুলির পরীক্ষার ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
গতানুগতিক স্নাইপার দিয়ে আফগানিস্তানে কাজ করতে মার্কিন বাহিনীকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। প্রচণ্ড বাতাস ও ধূলার মধ্যে লক্ষ্যভেদ করা অনেকক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই গত জুলাইয়ে ডারপার পক্ষ থেকে এক্সাকটো প্রাকল্প শুরু করা হয়। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল স্নাইপার রাইফেলের লক্ষ্যভেদের দূরত্ব বাড়ানো এবং নিখুঁত ও কার্যকরী গুলি তৈরি।
বর্তমানে দশমিক ৫০ ক্যালিবারের গুলিতেও স্বনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি যুক্ত করা যায়। গবেষকরা মনে করেন, ভবিষ্যতে সব ক্যালিবারের গুলিতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।