স্কুলবাসে চড়ে মঙ্গল ভ্রমণ
বাস এসে দাঁড়াল বাচ্চাদের সামনে। স্কুলে যাওয়ার জন্য বাচ্চারা সব বাসে উঠে পড়ল। বাস চলা শুরু হতেই বাচ্চাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুরু।
কারণ বাইরের কিছুই তারা দেখতে পারছে না। তাদের মনে হচ্ছে তারা মঙ্গল গ্রহে প্রবেশ করেছে এবং মঙ্গল গ্রহের মধ্য দিয়ে বাস চলছে। এই সবই অবশ্য ঘটেছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কল্যাণে।
নতুন বিষয়ে জানার জন্য বাচ্চারা সব সময়ই বাকিদের চেয়ে বেশি আগ্রহী থাকে। আর বাচ্চাদের মহাকাশ সম্পর্কে জানাতে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন তৈরি করেছে এই স্কুল বাস। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মঙ্গল অভিজ্ঞতা’।
‘জেনারেশন বিয়োন্ড’ প্রকল্পের আওতায় এই বাসটি তৈরি করেছে লকহিড মার্টিন। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মহাকাশ বিদ্যায় শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করেছে তারা। এ খবর জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ফিউচারিজম ডটকম।
এই প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কুলে ও জাতীয় পর্যায়ে মহাকাশবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে তারা। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত মঙ্গল বা মহাকাশ গবেষণায় যেসব উন্নতি হচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কেও শিশু-কিশোরদের জানাতে কাজ করছে তারা।
লকহিড মার্টিনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ম্যারিলিন হিউসন বলেন, আমাদের বাচ্চারা, যারা আজকে স্কুল-কলেজে পড়ছে, তাদের নিয়ে এমন একটি প্রজন্ম তৈরি হবে যারা এই মহাবিশ্বকে চিরদিনের জন্য পাল্টে দেবে। এই প্রজন্ম মঙ্গলে হেঁটে বেড়াবে, মহাকাশের গভীরতম এলাকাগুলো খুঁজে বের করবে, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করবে। আমাদের কল্পনাতীত আরো অনেক কিছুই তারা করে দেখাবে। আর তাদের কথা ভেবেই এই বাসটি তৈরি করেছি আমরা।’
বিশেষভাবে তৈরি এই স্কুলবাসের কাচগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রযুক্তি। আর মঙ্গলের ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে। কিন্তু ছবিগুলো এতটাই জীবন্ত মনে হয় যে বাসে থাকা বাচ্চারা ভুলেই যায় যে তারা আসলে পৃথিবীতে আছে।