উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে উড়ন্ত দানব পাথরের বিপদ
বাহামায় একটি দ্বীপে উঁচু পাহাড়ে বিশালাকৃতির কয়েকটি পাথর নিয়ে গবেষণা করছেন নাসার সাবেক বিজ্ঞানী জেমস হ্যানসেন। ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জনক’ বলে পরিচিত এই বিজ্ঞানী গবেষণার বিষয় পাহাড়ের ৬০ ফুট ওপর হাজার টন ওজনের পাথর কীভাবে এলো। এর যে ব্যাখ্যা করা হয় তা পৃথিবীর জন্য বড় আশঙ্কার।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাহামার ইলিয়থেরা দ্বীপ ১১০ মাইল দীর্ঘ। এই দ্বীপের পাহাড়ের বিশালাকৃতির দুটি পাথরকে স্থানীয়রা বলেন, ‘কাউ অ্যান্ড বুল’। এর মধ্যে বড়টির ওজন এক হাজার টন। কোনোভাবেই এগুলো পাহাড়ের অংশ নয়। পরে কোথাও থেকে এসে পাহাড়ের ওপর পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কীভাবে পাহাড়ের ওপর এলো এমন হাজার টনি পাথর।
গবেষক হ্যানসেল ও তাঁর সহকারীদের মতে, সমুদ্রের প্রচণ্ড ঢেউ বিশাল পাথরকে পাহাড়ের ওপর ছুড়ে ফেলেছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি অদ্ভুত মনে হলেও এমনটি ঘটতেই পারে। গবেষকরা তত্ত্বের ব্যাখ্যায় বলেন, এক লাখ বছর আগে বৈশিক উষ্ণতা অনেক বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে পড়েছিল। ওই সময় সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়েই ‘কাউ অ্যান্ড বুল’ পাথর পাহাড়ের ওপর এসে পড়ে।
বর্তমান সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণতার বৃদ্ধিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে গবেষকরা মন্তব্য করেন, উষ্ণতা বৃদ্ধির বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে অতীতের মতোই উত্তাল হয়ে উঠবে সমুদ্র। তখন পূর্বের মতোই পাথরখণ্ড উড়ে আসতে পারে।
১৯৯৭ সালে নাসায় কর্মরত অবস্থায়ই ‘কাউ অ্যান্ড বুল’ পাথরের উড়ে আসার তত্ত্বের ব্যাখ্যা দেন। এর পর থেকেই জলবায়ুর পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা বোঝাতে পাহাড়ের ওপরে বিশালাকৃতির পাথর দুটিকে দেখানো হয়।