টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট গত বছর অফিস ৩৬৫ গ্রাহকের জন্য তাদের ক্লাউড স্টোরেজ সেবা ‘ওয়ানড্রাইভ’-এ আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধা চালু করে। এবার সেই অবাধ তথ্য রাখার সুবিধা বন্ধ করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

গত সোমবার দেওয়া একটি ঘোষণায় মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেমন—বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট সবার জন্যই এ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধার বদলে এখন থেকে তাঁরা এক টেরাবাইট স্টোরেজ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের আগের অবস্থান থেকে সরে আসার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে ‘অল্প সংখ্যক’ গ্রাহক। এই অল্প সংখ্যক গ্রাহক তাঁদের বিভিন্ন ডিভাইস থেকে বিশাল আয়তনের সিনেমা এবং ডিভিআর রেকর্ডিং জমা রাখার কাজে ব্যবহার করেছেন ওয়ানড্রাইভের আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধাকে। মাইক্রোসফটের হিসাব বলছে, এর পরিমাণ গ্রাহকপ্রতি ৭৫ টেরাবাইট ছাড়িয়ে গেছে!

যদিও ৭৫ টেরাবাইট সত্যিকার ‘আনলিমিটেড’ স্টোরেজের কাছে তুলনীয় হতে পারে না, তবে মাইক্রোসফটের জন্য গ্রাহকপ্রতি এই আকার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, মাইক্রোসফট নিজেদের পক্ষে বলছে, তাদের এই সেবা কখনোই এমন চরম পরিস্থিতির জন্য নির্মিত হয়নি; বরং তাদের গ্রাহকদের একটি উচ্চমানের ক্লাউড স্টোরেজের অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রয়াস ছিল সেটি।

যেসব ব্যবহারকারী এরই মধ্যে এক টেরাবাইটের বেশি আকারের ফাইল ওয়ানড্রাইভে জমা রেখেছেন, তাঁদের এ মুহূর্তে অতিরিক্ত ফাইল সরিয়ে নেওয়ার দরকার নেই। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ মাস পর্যন্ত এই অতিরিক্ত ফাইল তাঁরা ওয়ানড্রাইভেই সংরক্ষণ করতে পারবেন। তবে কারো যদি মাইক্রোসফটের নতুন এই নীতি একেবারে মনে না ধরে, তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অফিস ৩৬৫ সাবস্ক্রিপশনের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

ওয়ানড্রাইভের অন্যান্য নীতি থেকেও সরে এসেছে মাইক্রোসফট। আগামী বছর থেকে ১০০ গিগাবাইট ও ২০০ গিগাবাইটের কোনো স্টোরেজ সুবিধা চালু রাখবে না তারা। অন্যদিকে, ৫০ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা পেতে হলে গ্রাহককে প্রতি মাসে গুনতে হবে ১.৯৯ ডলার।

আর সবার জন্য বিনামূল্যে ওয়ানড্রাইভ ব্যবহারের সুযোগেও আসছে পরিবর্তন। অতীতে বিনামূল্যে যেকোনো মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী ১৫ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা পেলেও আগামী বছর থেকে তা কমে ৫ গিগাবাইটে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে।