কফি থেকে জ্বালানি!
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারের একটি কারখানায় মনুষ্য বর্জ্য থেকে উৎপাদিত হচ্ছে আধুনিক জৈব-জ্বালানি। বায়ো-বিন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই জ্বালানি উৎপাদন করছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আর্থার কে ছিলেন স্থাপত্যবিদ্যার ছাত্র। প্রায় বছর দুই আগে তিনি শুরু করেন বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনের কাজ। বর্তমানে ২০ হাজার বর্গফুটের এই ফ্যাক্টরিতে প্রায় ২৫ জন কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন। লাইফস্টাইল ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘উইয়ার্ড’ জানিয়েছে এই তথ্য।
বায়ো-বিনের এই ফ্যাক্টরিতে বছরে ৫০ হাজার টন কফি থেকে প্রাপ্ত বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব। অর্থাৎ সেকেন্ডে ১০০ কাপ কফি থেকে প্রাপ্ত বর্জ্য পরিশোধন করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। আর্থার কে-এর ভাষ্যমতে, এক টন কফি বর্জ্য হতে যে পরিমাণ জৈব-জ্বালানি উৎপাদিত হয়, তা প্রায় সাত টন কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমান। আর একটু সহজ করে বললে, লন্ডন থেকে বেইজিং পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে আসতে-যেতে এই পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়।
বায়ো-বিন প্রধানত বায়োডিজেল উৎপাদন করছে। যুক্তরাজ্যের ‘রয়্যাল সোসাইটি ফর এনকারেজমেন্ট অব আর্টস, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড কমার্স’-এর ফেলো আর্থার কে-এর মতে, ‘পৃথিবীর বড় শহরগুলো শতকরা ৮০ ভাগ কার্বন উৎপাদন করে থাকে। নগরায়ণের ফলে এই হাল নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। কাজেই এখন থেকেই আমাদের জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।’
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে এক হাজার কোটি। এদের ভেতরে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ বাস করবে শহরে। নিউইয়র্কের মতো আরো ২৫০টি শহরের সমান জায়গা লাগবে এই বিপুল পরিমাণ মানুষের আবাসনের জন্য।