যুদ্ধক্ষেত্রে আসছে লেজার রশ্মি
সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় প্রায়ই দেখা যায়, অত্যাধুনিক অস্ত্র থেকে ছোড়া লেজার রশ্মি ধ্বংস করে দিচ্ছে শত্রুপক্ষকে। এতদিন পর্যন্ত কেবল কমিক বই আর সিনেমায় দেখা গেলেও সেদিন আর দূরে নয়, যখন বাস্তবের যুদ্ধক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে লেজার রশ্মি। বিখ্যাত মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘লকহিড-মার্টিন’ ঘোষণা দিয়েছে, শিগগিরই লেজার রশ্মিচালিত অস্ত্র বাজারজাত করবে তারা। এই খবর জানিয়েছে ‘ফক্স নিউজ’।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকে ‘লকহিড-মার্টিন’ মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য লেজার রশ্মিচালিত অস্ত্রের নির্মাণকাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যাডভান্সড টেস্ট হাই এনার্জি অ্যাসেট’, সংক্ষেপে ‘অ্যাথেনা’। আগামী বছর থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে পুরোদমে এই অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
কয়েক বছর ধরেই লকহিড-মার্টিন এই ‘অ্যাথেনা’ নিয়ে গবেষণা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে ফিল্ড টেস্ট চালিয়ে অস্ত্রটির কার্যক্ষমতা সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৩০ কিলোওয়াট ক্ষমতার লেজার বিম নিক্ষেপ করে একটি ট্রাকের ইঞ্জিন অচল করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই অ্যাথেনা। মডিউলার প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত এই লেজার বিম প্রচলিত অস্ত্রের তুলনায় বহুগুণে নিখুঁত আর ভয়ংকর, লকহিড-মার্টিন কর্মকর্তারা এমনই ‘নিশ্চয়তা’ দিচ্ছেন!
গবেষকদের আশা, পুরোপুরি প্রস্তুত হলে অ্যাথেনা ৬০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার বিম ছুড়তে পারবে। এই ক্ষমতাকে ক্রমান্বয়ে ১২০ কিলোওয়াটেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব। নির্মাতারা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রচলিত অস্ত্রের তুলনায় অ্যাথেনা বহুগুণে কার্যকর হবে। এ ছাড়া মর্টার কিংবা মিসাইলের আঘাত থেকে সেনাবাহিনীকে রক্ষার ক্ষেত্রেও অ্যাথেনা দারুণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে নিশ্চয়তা দেন তাঁরা।