ভাবছেন, যেখানে সিডি-ডিভিডির দিনই প্রায় শেষ বলে মনে হচ্ছে, সেখানে ক্যাসেট আবার কোথা থেকে এলো? শুনলে অবাক হবেন, আসলেই ক্যাসেটের দিন শেষ হয়ে যায়নি; বরং স্প্রিংফিল্ডের এক ক্যাসেট নির্মাতা কোম্পানি জানিয়েছে, ১৯৬৯ সালে চালু হওয়ার পর বিক্রিবাট্টার দিক থেকে ২০১৪ সাল ছিল তাদের সেরা বছর। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ব্লুমবার্গ বিজনেস।

ন্যাশনাল অডিও কোম্পানি নামক প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি স্টিভ স্টেপ ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘হয়তো আপনি আমাদের কাজকর্মকে একগুঁয়ে বা বোকামি বলতে পারেন। কিন্তু আমাদের একগুঁয়েমির জন্যই আমরা আমাদের কাজ করে গেছি।’

ন্যাক (ন্যাশনাল অডিও কোম্পানি) হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অডিও ক্যাসেট নির্মাতা কোম্পানি এবং যখন অডিও ক্যাসেটের বাজার পড়তির দিকে ছিল, তখনো ন্যাক বীরদর্পে তাদের ফিতাওয়ালা ক্যাসেট বানানো অব্যাহত রেখেছিল। ২০১৪ সালে তারা সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি অডিও ক্যাসেট নির্মাণ করেছে এবং এ বছর তাদের বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ।

তবে স্টেপ বিশ্বাস করেন, পুরোনো দিনকে ধরে রাখতেই চলছে এই বিক্রির জোয়ার। কেন মানুষ এখনো অডিও ক্যাসেট কেনে? এ রকম প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বেশি করে ক্যাসেট কেনার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে, হাতে একটি অডিও ক্যাসেট থাকার মধ্যে এক অপূর্ব নস্টালজিয়া লুকিয়ে আছে। আর এই অনুভূতি অনেকেই প্রচণ্ড উপভোগ করে। তাই পৃথিবী থেকে অডিও ক্যাসেট নিশ্চিহ্ন করে ফেলা কখনোই সম্ভব নয়।’

ন্যাক নিয়মিত কাজ করছে সনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্ট ও ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের মতো বাঘা বাঘা রেকর্ড লেবেলের সঙ্গে। কোম্পানির প্রায় ৭০ শতাংশ আয় হয় গানের অ্যালবাম বিক্রি করে। আর বাকি ৩০ শতাংশ আসে ‘খালি ক্যাসেট’ বিক্রি করে।

নস্টালজিয়াকে পুঁজি করে চলছে ন্যাকের এই ক্যাসেটের ব্যবসা। অবশ্য নস্টালজিয়া বাস করে কোম্পানি নিজের মধ্যেই। কারণ, তাদের ক্যাসেট উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলোও ১৯৭০ এর দশকে তৈরি।