বাংলাদেশে শিগগিরই আসছে পেপ্যালের সেবা। অনলাইনে লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যমটির সেবা চলতি বছরেই দেশে চালু হতে পারে। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় এই তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান জোসেতে পেপ্যালের সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বাধীন দলের বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নীতি ও নিয়ন্ত্রণের সংশোধন এবং বাণিজ্যের সম্ভাবনা সম্পর্কে পেপ্যাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
 
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই জুম অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা বাংলাদেশে চালু করতে সম্মত হয়েছে পেপ্যাল। ‘জুম’ পেপ্যালের মালিকানাধীন একটি অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হওয়ার বিষয়টি সহজ হবে এবং তাদের কোনো সহায়তার প্রয়োজন হলে সরকারকে জানাতে পারবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু করার বিষয়ে তাঁদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
 
এর আগে ২০১২ সালে পেপ্যালের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে তারা প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে মতামত পাঠায়। পরবর্তী বছর পেপ্যাল জানায়, তারা দেশে সেবা চালু করছে না।এর পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে পেপ্যাল চালুর চেষ্টা করছে সরকার। 

পেপ্যালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২০৩টি দেশে তারা সেবা দিচ্ছে। আর পেপ্যালে লেনদেন করা যায় ২৬ ধরনের মুদ্রায়। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে পেপ্যাল সেবা আছে। বাংলাদেশে পেপ্যাল সেবা চালু হলে অনলাইনে কাজ করেন এমন প্রতিষ্ঠান ও ফ্রিল্যান্সাররা সবচেয়ে উপকৃত হবেন।