আগস্টে দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মোবাইল ব্যবহৃত হয়েছে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে ১৬ কোটি ৬০ লাখ।
সেইসঙ্গে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। গত জানুয়ারি মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা নয় কোটি ৯০ লাখ ছিল। আগস্টে তা বেড়ে ১০ কোটি ৮০ লাখে দাঁড়িয়েছে। এটি আগের তুলনায় নয় শতাংশ বেশি। চলমান মহামারিতে দেশের ভোক্তারা অনলাইন সেবা গ্রহণের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভার্চুয়াল বহুজাতিক প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান (সিসকো) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সার্ক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুধীর নায়ার এসব কথা বলেন।
অনলাইন বাজার উন্নয়নের বিষয়ে বলতে গিয়ে সিসকোর সার্ক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুধীর নায়ার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশে অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে আগের চেয়ে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সাল নাগাদ ই-কমার্সের বাজার তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। করোনার কারণে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে অনলাইনে সেবাপ্রদানকারী ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন দক্ষ প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনা।
সুধীর নায়ার বলেন, দেশের ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর ও অনলাইনভিত্তিক বাজারকে দৃঢ় করতে কাজ করছে বহুজাতিক প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিসকো। ডিজিটাল আদান-প্রদানকে সহজ, নিরবিচ্ছিন্ন ও ঝুঁকিমুক্ত করতে সিসকো নিয়ে এসেছে ‘রেসিলিয়েন্ট ডিসট্রিবিউটেড এন্টারপ্রাইজেস’ বা ‘আরডিই’। এই নতুন পোর্টফোলিওর অংশ হিসেবে সিসকো ‘সিকিউরএক্স’ নামে সহজে ব্যবহারযোগ্য ও ক্লাউড-নেটিভ প্ল্যাটফরম চালু করছে। যা ডিজিটাল ব্যবস্থাপনাকে সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত মজবুত করতে সিসকোর চলমান উদ্যোগগুলোর মধ্যে এটি একটি নতুন সংযোজন।
সিসকোর সার্ক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এটি সিসকোর চলমান উদ্যোগের সর্বশেষ সংযোজন যা দেশের অর্থনীতির ডিজিটাল রূপান্তরে গতি আনবে। সিসকো তার ব্যবসায়ের জন্য ও আরডিই দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের নেটওয়ার্কিং একাডেমির মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান বছর পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নেটওয়ার্কিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় ৪৯ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সিসকো। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা ৭০ হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসকো দেশজুড়ে নিজেদের অংশীদার বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের রেসিলেন্ট প্রযুক্তি আর্কিটেকচারের সুবিধা প্রদান করতে পারবে।
এই উন্নয়নের বিষয়ে বলতে গিয়ে সিসকোর সার্ক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুধীর নায়ার বলেন, ‘আমরা দুই দশক ধরে বাংলাদেশে আছি এবং প্রযুক্তি কীভাবে জনগণ ও ব্যবসাকে শক্তিশালী করেছে তা আমরা দেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি যে, মহামারিটি দেশের ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুযোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সিসকো নতুন রেজিলিয়েন্ট ডিস্ট্রিবিউটেড এন্টারপ্রাইজেস পোর্টফোলিও চালু করায় আমরা গর্বিত। কারণ এর সাহায্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ডিজিটালাইজড করতে পারবে।’
সুধীর নায়ার আরো বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আগামীর প্রয়োজন মাথায় রেখে এবং ক্লাউড অবকাঠামো, অটোমেশন ও নিরাপত্তায় সিসকোর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থেকে এই সর্বশেষ সংযোজন আনা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন স্বাভাবিক সময়ে সর্বাধিক সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য ও বিস্তৃত অংশীদারসহ দেশে দক্ষ কর্মী তৈরিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সিসকো এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ে উন্নতি সাধন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’