ভোরে ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা

সবার আগে শেষ হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) শেষ ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় আর্জেন্টিনাকে আতিথেয়তা দিবে ইকুয়েডর। সাড়ে ৫টায় ব্রাজিল খেলবে বলিভিয়ার মাঠে।
ইতোমধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাসহ ছয়টি দলের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। শেষ ম্যাচটি এখন দুই দলের জন্য কেবল নিয়মরক্ষা আর বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে এই ম্যাচে আর্জেন্টিনাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি খেলছেন না সেটা আগেই জানা গেছে। চোট থেকে ফিরে বিশ্রাম নিতে এই ম্যাচে খেলছেন না তিনি। ফলে নিশ্চিতভাবেই শুরুর একাদশে পরিবর্তন আনবেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। পরিবর্তন আসতে পারে আরও কয়েকটি।
স্কালোনিকে সেই সাহসও দিচ্ছে দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান। এখন পর্যন্ত মোট ৪১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডর। এর মধ্যে ২৫টি ম্যাচে জিতেছে আর্জেন্টিনা। পাঁচটি ম্যাচে জিতেছ ইকুয়েডর, বাকি ১১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। এই ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনা গোল দিয়েছে ১০৩টি আর ইকুয়েডর ৩৮টি। ফলে স্কালোনিকে একাদশে একাধিক পরিবর্তন আনতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে না।
অন্যদিকে, কার্লো আনচেলত্তির অধীনে নতুন করে শুরু করা ব্রাজিলকে বলিভিয়ার বিপক্ষে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। মাঠের খেলার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাজিলকে লড়াই করতে হবে আবহাওয়ার সঙ্গে। ব্রাজিল-বলিভিয়ার এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে এস্তাদিও দে মিউনিসিপাল স্টেডিয়ামে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১৩ হাজার ৪১২ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। ফলে ফুটবলারদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। যেকারণে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, আবহাওয়াও বড় একটা চ্যালেঞ্জ থাকে সফরকারী দলগুলোর জন্য।
ব্রাজিলকে অবশ্য অনেকখানি এগিয়ে রাখছে দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান। সেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য ব্রাজিলের। এখন পর্যন্ত মোট ৩৩টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল আর বলিভিয়া। এর মধ্যে সেলেসাওদের জয় ২৪টি ম্যাচে। বিপরীতে বলিভিয়ার জয় মাত্র পাঁচটি। আর বাকি চারটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। এই ম্যাচগুলোতে ব্রাজিল গোল করেছে ১১৩টি আর বলিভিয়া ২৬টি।
সর্বশেষ ম্যাচে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে চিলির বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে সেলেসাওরা। আনচেলত্তির অধীনে খেলা তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। একটি ম্যাচে ড্র করেছে। রক্ষণভাগের সমস্যাও অনেকটাই কেটে গেছে বলা যায়। এই তিন ম্যাচের কোনো ম্যাচেই গোল হজম করেনি ব্রাজিল। রক্ষণ সামলে বরং আধিপত্য করেছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে।
আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ব্রাজিলও যে এ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে সেটা অনুমেয়ই। আনচেলত্তির স্কোয়াড ঘোষণার সময়ই সেটা বোঝা গিয়েছিল। দলের সেরা তিন তারকা নেইমার জুনিয়র, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগোদের স্কোয়াডে রাখেননি তিনি। বিশ্বকাপের আগে তরুণ খেলোয়াড়দের বেশি খেলিয়ে অভিজ্ঞ করার পরিকল্পনা আনচেলত্তির।