এক দশকে উত্থান-পতন হয়েছে অনেক। সন হিউং-মিন সাক্ষী হয়েছেন সেসবের। আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনি রয়ে গেছেন টটেনহাম হটস্পারে। দিয়েছেন নেতৃত্ব, জিতিয়েছেন ইউরোপা লিগ। সময় যখন অনুকূলে, তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব ছাড়ার।

টটেনহামের কিংবদন্তি হিসেবে বিদায় নিলেন সন। নিজ দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে শেষবার খেলতে নামেন টটেনহামের জার্সিতে। আজ রোববার (৩ আগস্ট) ম্যাচটি অবশ্য ছিল প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেরই আরেক ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয় টটেনহাম। ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।

দর্শকের আগ্রহ ছিল সনকে ঘিরে। ৬৪ মিনিটে তাকে বদলি করেন কোচ। গ্যালারি যেন করতালিতে ফেটে পড়ে। দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো হয় সনকে। সতীর্থ ও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা এগিয়ে আসেন এক এক করে। দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। গ্যালারিতে পড়ে ক্যামেরার চোখ। প্ল্যাকার্ডে একজন লিখে এনেছে, ‘সন তুমি স্পারদের কিংবদন্তি।’ ভুল কিছু লেখেননি সেই ভক্ত।

মাঠের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেঞ্চে বসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নির্বাক তাকিয়ে ছিলেন সন। যে ক্লাব তাকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে গেছে, তা ছেড়ে যাওয়ার বেদনা ছুঁয়ে গেছে সনকে। ১০ বছরে টটেনহামের জার্সিতে ৪৫৫ ম্যাচে ১৭৩ গোল ও ১০১টি অ্যাসিস্ট করেছেন সন। ক্লাবকে নিয়েছিলেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। তাতে শিরোপা জিততে না পারলেও গত মৌসুমে ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন করেছেন ক্লাবকে।

এত সাফল্যের পরও কেন ক্লাব ছাড়ছেন, সেটি সন নিজেই জানিয়েছিলেন। বিদায়ের ঘোষণায় বলেছিলেন, ‘নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার নতুন পরিবেশ দরকার। আমার একটু পরিবর্তন দরকার। ১০ বছর লম্বা সময়। আমি উত্তর লন্ডনে এসেছিলাম বাচ্চা হিসেবে, ২৩ বছর বয়সে। এখন ছাড়ছি এখন পরিণত মানুষ হিসেবে, ভীষণ গর্বিত হয়ে।’