গত মাসে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল। আফঈদা খন্দকারের নেতৃত্বে মিয়ানমারে দাপুটে পারফরম্যান্সে এক ম্যাচ হাতে রেখেই এই সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। একমাস পর সেই আফঈদার নেতৃত্বেই এশিয়ান কাপের আরেক মিশনে গেল বাংলাদেশ।

আজ শনিবার (২ আগস্ট) এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে লাওসের বিমান ধরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে বাংলাদেশের গন্তব্য থাইল্যান্ড। সেখানে নেমে ঘণ্টা দেড়েক বিশ্রাম নিয়ে ধরবেন আয়োজক দেশ লাওসের বিমান।

আগামী ৬ আগস্ট শুরু হবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। বাংলাদেশ পড়েছে ‘এইচ’ গ্রুপে। যেখানে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে আফঈদাদের। এই গ্রুপে বাংলাদেশের বাকি তিন প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস, দক্ষিণ কোরিয়া আর তিমুরলেস্তে।

নিয়ম অনুযায়ী, আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল আর সেরা চার রানার্সআপ দল মূলপর্বে খেলা সুযোগ পাবে। তবে, স্বাগতিক দেশ থাইল্যান্ড যদি বাছাইপর্ব পার হতে না পারে তাহলে সেরা তিন রানার্সআপ দল মূলপর্বে খেলবে।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া। স্বাগতিক লাওসও বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের জন্য শুধু কঠিনই নয়, অসাধ্যও বটে। সেটাকে মাথায় রেখেই কোচ পিটার বাটলার জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন নয় সেরা তিন রানার্সআপেই নজর বাংলাদেশের।

সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রথম মিশনে নামবে ৬ আগস্ট। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। ৮ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তিমুর লেস্তে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে এই ম্যাচটি।

১০ আগস্ট শেষ ম্যাচে কঠিন অগ্নি পরীক্ষা দিতে হবে পিটার বাটলারের দলকে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচটিও শুরু হবে বিকেল ৪টায়। বাছাইয়ের সবগুলো ম্যাচই হবে লাও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।