ব্যর্থতার গল্প লিখে কলম্বোতে লজ্জার হার বাংলাদেশের

জয়ের মঞ্চটা আগের দিনই তৈরি করে রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিনে দেখার বাকি ছিল, বাংলাদেশ কতটা ব্যবধান কমাতে পারে। কিন্তু আগের দিনের ব্যর্থতার গল্পের যেনো পূর্ণতা দিলো বাংলাদেশ। লড়াই তো দূরে থাক চেষ্টাটাও করতে পারেনি লিটন দাসরা। দেখে মনে হচ্ছিল, যেনো ব্যাট করতেই ভুলে গেছে বাংলাদেশ। ফলাফল যেটা হওয়ার সেটাই হয়েছে। ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ হেরে সিরিজও খোয়াল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
প্রথম ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। কলম্বোর ব্যাটিং স্বর্গেও বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল মোটে ২৪৭ রান। বাংলাদেশের ব্যাটাররা কতটা ব্যর্থ ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা দেখিয়েছে লঙ্কানরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রান তোলে তারা। ২১১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এবারও তাদের অবস্থা আরও করুণ, তুলতে পেরেছে মোটে ১৩৩ রান। এতে ইনিংস এবং ৭৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসরে (২০২৫-২০২৭) এটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ। দুই ম্যাচের সিরিজে টাইগাররা হারল ১-০ ব্যবধানে। এর আগে গলে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। কিন্তু চিত্রটা দেখা গেলো ভিন্ন। ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরনো রোগেই নতুন করে আক্রান্ত হয় বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
আজ কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সেই অসাধ্য সাধনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভিন্ন কোনো গল্প লিখতে পারলেন না লিটন-নাঈমরা। বাকিদের মতোই হতাশ করেছেন তারাও।
চতুর্থ দিনে আশাটা ছিল লিটনকে নিয়ে। কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই হতাশ করে ফেরেন তিনি। মাত্র ৪ বল খেলে জয়সুরিয়ার বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা কুশল মেন্ডিসকে। ফেরার আগে তিনি করেন ৪৩ বলে ১৪ রান।
লিটনের দেখানো পথেই হেটেছেন নাঈম হাসানও। তিনিও উইকেট দিয়েছেন জয়সুরিয়াকে। উইকেট ছেড়ে বের হয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে করেছেন ৮ বলে ৫ রান।
এরপর আর লঙ্কানদের অপেক্ষা বাড়াতে পারেনি তাইজুলরা। এক ওভার পরে তাইজুল ফেরেন জয়সুরিয়াকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। ফেরা আগে তিনি করতে পারেন ১৫ বলে ৬ রান। তিন বল পরে ইবাদত হোসেনও একই পথে দেখেছেন। রত্নায়াকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।