আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্র্নামেন্টের ফাইনাল মাঠে গড়াবে ২ নভেম্বর। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ৫টি স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের জন্য রাখা হয়েছে বিকল্প ভেন্যুর ব্যবস্থা। তারা খেলবে শ্রীলঙ্কায়।

বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে মোট আটটি দল। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আসরকে সামনে রেখে সূচি ও ভেন্যু প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

১২ বছর পর নারী বিশ্বকাপের আসর বসছে ভারতের মাটিতে। ৩০ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতের ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। বাকি চার ভেন্যু— গুয়াহাটির এসিএ স্টেডিয়াম, ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তমে এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়াম ও কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের সবগেুলো ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় খেলবে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেমিফাইনালে ও ফাইনালে ওঠে, সেক্ষেত্রেও খেলবে বিকল্প ভেন্যু প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। ২৯ অক্টোবর প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ভারতের গুয়াহাটি অথবা শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে এবং ৩০ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। নভেম্বরের ২ তারিখ টুর্ণামেন্টটির শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বেঙ্গুলুরু অথবা কলম্বোতে।

২০২২ সালে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসর বসেছিল নিউজিল্যান্ডে। ইংল্যান্ডকে ৭১ রানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টের ইতহাসে সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। সাতবার বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে অসি নারীরা।

একইদিনে ২০২৬ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুচি ও ভেন্যু প্রকাশ করা হয়েছে। আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে নারী ক্রিকেটের প্রতি ভক্তদের দারুণ সমর্থন লক্ষ্য করেছি। এখন যেহেতু তারিখ ও ভেন্যুগুলো তাদের জানানো হয়েছে, তারা ইভেন্টগুলোকে ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করতে পারবেন।’