মাদ্রিদ-সিটির সামনে আজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রথম লড়াই

যুদ্ধের ময়দানে শত্রুকে ছাড় দিতে নেই। শত্রুর শক্তিমত্তা যতই হোক, থাকতে হয় নিজের আত্মবিশ্বাস। সেরাদের সেরার সঙ্গে লড়তে গেলে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকার বিকল্প নেই। ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি ভালো করে জানে, রিয়াল মাদ্রিদ কতটা কী করতে পারে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অবিসংবাদিত সেরা দল মাদ্রিদ। তার সঙ্গে যদি যোগ করি বর্তমান পরিস্থিতি, মাদ্রিদ হয়ে আছে ক্ষ্যাপাটে ষাঁড়। সেই ক্ষ্যাপাটে ষাঁড়ের বিপক্ষে আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মাঠে নামছে ম্যানসিটি। সিটির ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ২টায়।
ব্যালন ডি’অর ইস্যুতে উত্তপ্ত মাদ্রিদ-সিটির সম্পর্ক। রদ্রিগো আর ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পরোক্ষ দ্বৈরথ তো কারও অজানা নয়। সঙ্গে আছে বদলে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফরম্যাট। যে ফরম্যাটের মারপ্যাঁচে মাদ্রিদ-সিটি উভয় দলকে কি না খেলতে হচ্ছে প্লে-অফ! শেষ ১৬-তে সরাসরি জায়গা পায়নি কেউই। সেটি তো আছেই, বাদই পড়ে যাবে এক দল। অথচ, শেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন তারাই।
প্লে-অফের প্রথম লেগে কাউকেই পিছিয়ে রাখার জো নেই। দুদলই চাইবে মরণকামড় দিতে। সর্বশেষ দেখায় গত বছর ম্যানসিটিকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় করেছিল লস ব্লাংকোরা। দুই লেগের ম্যাচে অবশ্য জেতেনি কেউ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগের ফল ৩-৩, ইত্তিহাদে পরের লেগ ১-১! টাইব্রেকারে সিটির স্বপ্ন ভাঙে মাদ্রিদ। পরে চ্যাম্পিয়নও হয় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। খাদের কিনারায় স্পেন ও ইংল্যান্ডের দুই পরাশক্তি। আর যা-ই হোক, প্লে-অফ যায় না তাদের নামের সঙ্গে। এমন ম্যাচের আগে মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তি জানালেন, কোনো কিছু আগে থেকে বলা সম্ভব না।
সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন, ‘মাঠে কী হবে, সেটি আগে থেকে বলা ভীষণ মুশকিল। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে আসলে। খেলোয়াড়দের মনোভাব, যোগ্যতা, আত্মবিশ্বাস ও মাঠে তারা নিজেদের কীভাবে ফুটিয়ে তোলে—এগুলো গুরুত্ব রাখে।’
ম্যানসিটি বস পেপ গার্দিওলা অকপটে জানান, মাদ্রিদকে আগে থেকে বোঝা অসম্ভব। তারা পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
গার্দিওলা বলেন, ‘আগে থেকে কিছু ভেবে রাখা অসম্ভব। এটা সবাই জানে, তারা কতটা (মাদ্রিদের ফুটবলাররা) ব্যতিক্রম। আমাদের যা করতে হবে, মাঠে তাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রবণতাকে খুব দ্রুত কমাতে হবে।’
ইত্তিহাদের ৯০ মিনিটে দর্শকরা রোলার কোস্টার রাইড পাবে, তা বলা চলে অনায়াসে। দুই দলের লড়াই গত কয়েক বছরে পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। হয়ে উঠছে আরও ঝাঁঝালো। মঞ্চটা যখন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার, তখন মুখে যতই সমীহ করুক, মাঠে হবে না একবিন্দু ছাড়।