অভিষেক টেস্টে জাসপ্রিত বুমরাহ এর মতো বিশ্বসেরা পেসারকে খেললেন সাবলীলভাবে। তুলে নিলেন দারুণ এক ফিফটি। বলছি অস্ট্রেলিয়ার ১৯ বছর বয়সী ওপেনার স্যাম কনস্টাসের কথা। মেলবোর্ন টেস্টে ব্যাট করতে নেমে এরইমধ্যে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তবে, ইতিহাসগড়া সেই ম্যাচে বিবাদে জড়ালেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে।

ম্যাচের তখন দশম ওভার। মোহাম্মদ সিরাজের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওভারটি শেষ করার পর হাতের গ্লাভস খুলতে খুলতে অন্য প্রান্তের সতীর্থ ব্যাটসম্যান উসমান খাজার দিকে যাচ্ছিলেন অভিষিক্ত স্যাম কনস্টাস। তখন উল্টো দিক থেকে বল হাতে এগিয়ে আসছিলেন বিরাট কোহলি। অনেকটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ১৯ বছর বয়সী কনস্টাসের দিকে এগিয়ে এসে তার কাঁধে ধাক্কা মারেন কোহলি।

এরপর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে খাজা গিয়ে দুজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। প্রথমে কনস্টাসকে কিছু একটা বলার পর কোহলির কাঁধে হাত রাখেন খাজা। ততক্ষণে মাঠের আম্পায়ারেরাও এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এই বিষয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেন ‘কোহলি ওই মুহূর্তের কথা মনে করে গর্ব অনুভব করবে না। কনস্টাস স্রেফ হেঁটে যাচ্ছিল। কোহলিকে দেখুন, সে তার পথের দিক পাল্টেছে। যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং সর্বকালের সেরা কিংবদন্তিদের একজন হিসেবে কোহলি অবশ্য কৃতকর্ম নিয়ে ভাববে।’

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং কোহলিকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন। এই ইস্যুতে পন্টিং বলেন ‘কোনো সন্দেহ নেই, আম্পায়ার এবং রেফারি বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখবেন। বেশ কিছু অ্যাঙ্গেল থেকে আমরা ঘটনাটি দেখেছি। আমি মানছি, ওভার শেষে তাদের কোনো অবস্থাতেই ব্যাটসম্যানের ধারেকাছে যাওয়ার কথা নয়। ব্যাটসম্যানরা কোথায় একসঙ্গে দাঁড়ায় সেটা প্রতিটি ফিল্ডারই জানে। আমার কাছে মনে হয়েছে, কনস্টাস অনেক দেরিতে খেয়াল করেছে। কেউ তার সামনে থাকতে পারে সম্ভবত তার ভাবনায় ছিল না। কিন্তু কোহলি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হতে পারে।’

এদিকে ম্যাচের দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) থেকে জানানো হয়েছে, সেই ঘটনার তদন্ত ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে আইসিসি কর্তারা। এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রিকি পন্টিং দোষারোপ করেন কোহলিকেই। ধারণা করা হচ্ছে কোহলি লেভেল টু পর্যায়ের অপরাধ করেছেন তাহলে ৩ কিংবা ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেতে পারেন ভারতীয় কিংবদন্তি। ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে তার। সে ক্ষেত্রে সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে হয়তো খেলা হবে না কোহলির।