বিতর্কিত ইস্যুতে সেই আম্পায়ারকে ধুয়ে দিলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার
সুযোগ ছিল প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর। কিন্তু সেই কাজটা আর করতে পারলেন না শান্ত-সাকিবরা। টি-টোয়েন্টি এবং এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজেয়ই থেকে গেলে প্রোটিয়ারা। টানা তিন জয়ে সবার আগে উঠে গেল সুপার এইটেও। তবে, ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় আম্পায়ারিং ইস্যু। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার সাইমুন ডুল।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আপনি ভাবুন একবার, এটা যদি ফাইনাল ম্যাচ হতো। এটা মেনে নেওয়া সহজ নয়। তবে, এই বিষয়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। যে সিদ্ধান্ত আম্পায়ার দিয়েছে সেটা খুবই বাজে। এটা কোনোভাবেই এলবিডব্লিউ হয় না। সে এত দ্রুত আউটের জন্য হাত তুলেছে, সেটা অবাক লেগেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুন সব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আম্পায়াররা। তবে, এটা সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত ছিল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে চার রান পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের, কিন্তু তারা সেটা পায়নি। যদি এটা বিশ্বকাপের ফাইনাল হতো, আর একটি দল এমন সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচ হেরে যায়, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। এখানে পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি প্রতিবার আইসিসির টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলি। মাঠে আম্পায়ারিং নিরপেক্ষ হওয়াটা জরুরি।’
উল্লেখ্য, ম্যাচের ১৭তম ওভারে প্রোটিয়া ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে প্যাডে লাগে মাহমুদউল্লাহর। আবেদন হলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগস্টাম্প মিস করেছে। ফলে মাহমুদউল্লাহ বেঁচে যান। অবশ্য তার প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই ৪ রান পেত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে সেই ৪ রান বাতিল হয়ে যায়। আর বাংলাদেশ ম্যাচও হারে ৪ রানেই। আর এরপরই ডেডবলের এই নিয়ম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।