ব্যাটিং ব্যর্থতায় সাগরিকায় অস্বস্তিতে বাংলাদেশ
বড় লক্ষ্য তাড়ায় দুজনের শুরুটা ছিল ইতিবাচক। দেশেশুনে শুরু করেছিলেন জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর যেন খেই হারালেন দুজন। প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরলেন সাজঘরে।
এরপর উইকেটে এসে কিছুটা আশা জাগান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। ২০ রানে শান্তর বিদায়ে ভেস্তে যায় সেই আশা। এরপর ক্রিজে থাকা মুমিনুলও আউট হন হাফসেঞ্চুরি করে। দ্রুত চাপ চাপ টপ অর্ডারকে হারিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে বিপাকে বাংলাদেশ দল।
লক্ষ্যটা পাহাড় সমান। জিততে হলে পাড়ি দিতে হবে পাঁচশত রানের পাহাড়। জয়ের আশা করা এখানে অমূলকই। কিন্তু ড্রয়ের আশা তো করাই যায়। সেই স্বপ্ন নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
সাগরিকায় ৫১১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। প্রথম ৫ ওভারে দুজন স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ২৫ রান। মোট ৮ ওভারে ৩১ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন দুজন। ফিরে এসে দুজনই ফিরলেন সাজঘরে।
১০ রানের লিড নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ইনিংস ঘোষণা করেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে সফরকারীরা।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। বোলাররা গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই লঙ্কানদের চাপে রাখেন হাসান মাহমুদ। তিন ওভারের মধ্যে ১৫ রানে দুই উইকেট হারায় দলটি। শুরুতে দুই উইকেট হারালেও এরপর সামলে নেয় নিজেদের। ৪৫ রানের জুটি গড়েন নিশান মাদুশকা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। মাদুশকাকে মিরিজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হাসান। একটু পর দিনেশ চান্দিমালও পরিণত হন হাসানের শিকারে। তার ক্যাচ নেন দিপু। এর আগে লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হাসান। লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ডেঞ্জারম্যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে।
এর পর আজ সাকিব আল হাসানের হাত ধরে বাংলাদেশ পায় দিনের প্রথম সাফল্য। তারচেয়ে মজার ব্যাপার, সাকিবের শিকারে পরিণত হলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিতর্কিত ম্যাচের পর এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন সাকিব। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ম্যাথুসকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন বাংলাদেশ শিবিরে।
ছয় উইকেট হারানো লঙ্কানদের হাল ধরেছিলেন ম্যাথুস। ৫৬ রান করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছিলেন তিনি। ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে ফেরান সাকিব। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন ম্যাথুস। এ সময় অবশ্য কোনো বিতর্কিত সেলিব্রেশন করেননি সাকিব।