ক্রিকেটার পুত্রকে মারতে সন্ত্রাসী ভাড়া!
জন্মদাতা বাবা এমন কাজটি করতে পারেন তা শুনে হয়তো অনেকেই বিস্মিত হবেন। ক্রিকেটার পুত্রকে মারতে রীতিমতো সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন সেই বাবা! আর সেই বাবার পুত্র হলেন বাংলাদেশ যুব দলের সাবেক ক্রিকেটার শাওন গাজী। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আহত হয়ে তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
গত যুব বিশ্বকাপে মেহেদি হাসান মিরাজের সতীর্থ ছিলেন শাওন। জাতীয় লিগ খেলতে তিনি যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এমন হামলার শিকার হন তিনি।
গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে তাঁর নিজ গ্রাম পটুয়াখালীর খালিশপুরে এমন হামলার শিকার হন তিনি। রনি, রফিক, রুবেল, সৌরভ ও নূর আলম মিলে মারধর করেছে শাওনকে। তাঁর মাথায় ইট দিয়েও আঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
এর পেছেনে রয়েছেন শাওনের বাবা মতি গাজী। এ ব্যাপারে তরুণ এই ক্রিকেটার বলেন, ‘পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছেন আমার বাবা মতি গাজী। এর কারণ হচ্ছে, এখন আমি ক্রিকেট খেলে কিছু টাকা আয় করছি, তা আমার বাবার নজরে পড়েছে। আর এই টাকায় ভাগ বসাতে চাইছেন তিনি। তাঁর কথায় রাজি হচ্ছি না বলেই সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন।’
অথচ এই বাবাই নাকি শাওনদের খোঁজ খবর নিতেন না। এ সম্পর্কে তরুণ এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আমার মাকে রেখে চলে গেছেন। আমরা বড় হয়েছি মামা বাড়িতে। আমার এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁর কোনো অবদান ছিল না। অথচ এখন আমার রোজগারে ভাগ বসাতে চাইছেন তিনি।’
সন্ত্রাসীদের কাছেই জানতে পারেন তাঁর বাবা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ব্যাপারে শাওন বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার আমার ওপর এমন হামলা চালিয়েছেন আমার বাবা। কিন্তু বাবা বলে কাউকে কিছু বলিনি, শত হোক আমার জন্মদাতা তো। হয়তো এক সময় বুঝতে পারবেন এমনটা আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাওন বলেন, ‘আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি আমি। পারিশ্রমিকের একটা অংশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তা হয়তো এলাকার মানুষজন জেনে যায়। তাই সন্ত্রাসীরা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। এর পরই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। পরে জেনেছি এর পেছনে আমার বাবা জড়িত রয়েছেন।আমি এর বিচার দাবি করছি।'