ব্রাজিলের সেই ক্লাবকে রিয়াল-বার্সার সমবেদনা
ট্রাজিক এক ঘটনাই ঘটে গেল ফুটবল বিশ্বে। ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হলো ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ক্লাব চ্যাপেকোয়েন্সের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে। মর্মান্তিক এই ঘটনা পুরো ফুটবল বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সমবেদনা জানিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনাও।
দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট কোপা সুদ-আমেরিকার ফাইনালে খেলার জন্য বলিভিয়া থেকে কলম্বিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন চ্যাপেকোয়েন্সের ফুটবলাররা। সবার চোখেই ছিল শিরোপাজয়ের স্বপ্ন। কিন্তু ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সেটা আর বাস্তব রূপ পায়নি। বিমানের ৮১ জন যাত্রীর মধ্যে নিহত হয়েছেন ৭৫ জনই। অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন ছয়জন।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোক জানিয়ে ফিফার সভাপতি ইনফান্তিতো বলেছেন, ‘এটা ফুটবলের জন্য খুবই শোকাচ্ছন্ন একটা দিন। এই কঠিন সময়ে আমরা এই দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও বন্ধুদের পাশে আছি। ফিফার পক্ষ থেকে চ্যাপেকোয়েন্সের সমর্থকদের জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’
ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ওয়েবসাইটে শোক প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্রাজিলিয়ান ক্লাব চ্যাপেকোয়েন্সের জন্য গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছে রিয়াল মাদ্রিদ। নিহতদের বন্ধু ও পরিবারের প্রতিও জানাচ্ছে সমবেদনা। যাঁরা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তাঁরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’ দলটির অধিনায়ক সার্জিও রামোস টুইটারে লিখেছেন, ‘ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডির শিকার প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা সত্যিই হতবাক হয়ে গেছি।’
একই ধরনের বার্তা দিয়ে চ্যাপেকোয়েন্সের পাশে দাঁড়িয়েছে স্পেনের আরেক শীর্ষ ক্লাব বার্সেলোনাও। এক টুইটার বার্তায় তারা বলেছে, ‘কলম্বিয়ায় চ্যাপেকোয়েন্স ট্র্যাজেডির শিকার প্রত্যেকের পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমর্থন ও সংহতি।’
১৯৫৮ সালে ঠিক একই রকম বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। সেসময় ম্যানইউ হারিয়েছিল তাদের আটজন তারকা ফুটবলার। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব চ্যাপেকোয়েন্সের এই ট্র্যাজেডির পর তারাও জানিয়েছে সমবেদনা।