ওয়ানডেতে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে বাতিলের ভাবনা
ওয়ানডে ক্রিকেটে রানবন্যা এখন নিয়মিত ঘটনা। গত বিশ্বকাপে প্রায় ৭০ শতাংশ ম্যাচে দুই দল মিলে অন্তত ৬০০ রান করেছিল। ওয়ানডেতে বোলারদের ওপর ব্যাটসম্যানদের দাপট কমিয়ে আনতে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে বাতিলের চিন্তা-ভাবনা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতার নিয়মে বদল আনার পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে দিবারাত্রির টেস্ট আয়োজনের কথাও বিবেচনা করছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
বিশ্বকাপের বেশির ভাগ ম্যাচেই ছিল ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য। ক্রিকেটের সেরা আসরের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ও দলীয় সংগ্রহের নতুন রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে ২০১৫ বিশ্বকাপ। এমন ‘দুঃসহ’ অবস্থায় আইসিসি ক্রিকেট কমিটির ভাবনা হয়তো কিছুটা স্বস্তিই দেবে বোলারদের।
ভারতের সাবেক তারকা স্পিনার অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে পাঁচজন খেলোয়াড় রেখে ফিল্ডিং সাজাতে পারবেন অধিনায়ক। বর্তমান নিয়মে ৪০ ওভারের পর বৃত্তের বাইরে থাকতে পারেন চারজন ফিল্ডার।
মুম্বাইয়ে সভাশেষে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের নিয়ম বাতিল করারও সুপারিশ করেছে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। সেই সঙ্গে প্রথম ১০ ওভারে ক্যাচিং পজিশনে বাধ্যতামূলকভাবে দুজন ফিল্ডার রাখার নিয়ম বাতিলের প্রস্তাবও এসেছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে বৃত্তের বাইরে মাত্র দুজন ফিল্ডার রাখতে পারে কোনো দল। ৫ ওভারের ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের সময় বৃত্তের বাইরে থাকতে পারেন তিনজন। আর বাকি ৩৫ ওভারে সর্বোচ্চ চারজন।
এক বিবৃতিতে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি বলেছে, ‘(বিশ্বকাপে) আকর্ষণীয় ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রশংসাই করছে কমিটি। কিন্তু একই সঙ্গে কমিটির উপলব্ধি, ওয়ানডে ক্রিকেটে ইনিংসের শেষ দিকে বোলার ও ফিল্ডিং দলের অধিনায়কের পক্ষে খুব বেশি রক্ষণাত্মক হওয়া সম্ভব হয় না।’
এদিকে এক দিনের ক্রিকেটের মতো পাঁচ দিনের টেস্টও ফ্লাডলাইটের আলোয় আয়োজনের কথা বিবেচনা করছে আইসিসি। গত কিছু দিনে একাধিক দেশে গোলাপি বলে দিন-রাত মিলিয়ে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ হয়েছে। সেসব ম্যাচকে ঘিরে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আইসিসি সন্তুষ্ট।
আগামী মাসে বারবাডোজে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সাধারণ সভায় এ সব সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে আইসিসি।