বিজয়ী দলের উদ্বোধনী জুটি ছিল ৩৪২ রানের। দুই দল মিলে রান করেছে ৮৭০। রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপে নটিংহ্যামশায়ার-নর্থ্যাম্পটনশায়ার ম্যাচ গুঁড়িয়ে দিয়েছে একাধিক রেকর্ড। রান-বন্যার ম্যাচটি প্রাণভরে উপভোগ করেছেন দর্শকরা।

সোমবার রাতে ঘরের মাঠ ট্রেন্টব্রিজে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নটিংহ্যামশায়ারকে রানের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব দুই ওপেনার মাইকেল লাম্ব ও রিকি ওয়েসেলসের। দুজনের ৩৪২ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৪৪৫ রান করেছে স্বাগতিক দল। ১৫০ বলে ১৮৪ রান করা লাম্বের ইনিংসটি ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলসের ছেলে রিকি ১৪৬ রান করেছেন ৯৭ বলে। 

লিস্ট ‘এ’ মানে ঘরোয়া ওয়ানডেতে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সর্বোচ্চ ৪৯৬ রানের ইনিংসটি সারের। ২০০৭ সালে গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে রেকর্ডটা গড়েছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি। তবে লাম্ব-রিকির ৩৪২ রান ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ জুটি। আগের রেকর্ড ছিল সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়ের। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের দুই ব্যাটিং কিংবদন্তির ৩১৮ রানই এত দিন সর্বোচ্চ জুটি ছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে। 

সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি। গত বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলসের ৩৭২ রান সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড ধরে রেখেছে এখনো। দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার মোমেন্টাম ওয়ানডে কাপে নাইটসের বিপক্ষে ডলফিন্সের মর্নে ভ্যান উইক আর ক্যামেরন ডেলপোর্টের ৩৬৭ রানের জুটি। 

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নর্থ্যাম্পটনশায়ারও কম যায়নি। রোরি ক্লাইনভেল্টের মাত্র ৬৩ বলে ১২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল অতিথি দলকে। শেষ পর্যন্ত ৪২৫ রানে অলআউট হয়ে ২০ রানে হেরে গেছে তারা। তবে একটা রেকর্ড ঠিকই হয়েছে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই দুই দল মিলে সর্বোচ্চ রান। নটিংহ্যামশায়ার-নর্থ্যাম্পটনশায়ারের ৮৭০ রানের চেয়ে তিন রান পিছিয়ে আছে ২০০২ সালের সারে-গ্ল্যামরগন ম্যাচটি।