ক্রমেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন সৌম্য

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন এক বছরও হয়নি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সৌম্য সরকারের। অল্প সময়ের মধ্যেই তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী হিসেবে জায়গাটা পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। আর এখন যেন নিজেকে ক্রমেই আরো উঁচুতে নিয়ে যাচ্ছেন ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচটা ভালো কাটেনি সৌম্যর। রানের খাতা না খুলেই ফিরে গিয়েছিলেন রানআউট হয়ে। বুধবার এশিয়া কাপের ম্যাচে সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই সৌম্য খেললেন ৪৮ বলে ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। ক্যারিয়ারসেরা এই ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো জিতে নিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। সৌম্যর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং যেন আরো বেশি করে টের পাইয়ে দিচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সত্যিই শুরু হয়েছে নতুন যুগ।
গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সৌম্য খেলেছিলেন ২১ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। এ বছরের শুরুতে নিজেকে আরেকটু উঁচুতে নিয়ে গিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ৪৩ রান। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এটিই ছিল সৌম্যর সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস।
নিজেকে আবারও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সৌম্য বেছে নিলেন এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকেই। মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ ইরফানের ক্ষুরধার বোলিং মোকাবিলা করে খেললেন ৪৮ রানের অসাধারণ ইনিংস। মারলেন পাঁচটি চার ও একটি ছয়। সৌম্যর ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশও পাঁচ উইকেটের জয় দিয়ে পেয়ে গেল ফাইনালের টিকেট।
৪৮ বলে ৪৮ রানের দারুণ ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেও দুই রানের আক্ষেপ থাকতেই পারে সৌম্যর। মাত্র দুটি রানের জন্য টি-টোয়েন্টিতে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পাননি এই বাঁ-হাতি ওপেনার। সেই আক্ষেপ দূর করতে সৌম্যর বেশিদিন লাগবে না, এমন প্রত্যাশাই হয়তো করবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।