টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই বিদায় নেওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির। কিন্তু অবসর নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা আরো কিছুদিন খেলে যেতে পারেন আফ্রিদি।

টেস্ট ক্রিকেট থেকে ২০১০ সালেই বিদায় নিয়েছেলেন আফ্রিদি। ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলেছেন গত বছর। তবে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কথা মেনে নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা আরো কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আফ্রিদি। এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে রওনা দেওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্য ও কিছু বন্ধু চাপ দিচ্ছে যেন টি-টোয়েন্টিটা আরো কিছুদিন খেলে যাই। তাদের কথা মাথায় নিয়ে আমিও বিষয়টা নতুন করে চিন্তা করছি।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে পাকিস্তান অংশ নেবে আফ্রিদিরই নেতৃত্বে। ৯০টি টি-টোয়েন্টি খেলা আফ্রিদিই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ৯১টি উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকার শুরুতেও আছে আফ্রিদির নাম।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য খুব একটা ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি ৩৫ বছর বয়সী আফ্রিদি। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল আফ্রিদির নেতৃত্বে। গত মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হেরে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে পাকিস্তান। ফলে ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করার জন্য নিজের ও সার্বিকভাবে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে আফ্রিদিকে। তিনি বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল কেমন করছে সেটা আগে দেখতে হবে। এটা আমাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। যদি মনে হয় যে, দলে আমার প্রয়োজনীয়তা আছে, তাহলে আমি খেলা চালিয়ে যাব।’

২৭ ফেব্রুয়ারি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের এশিয়া কাপ মিশন।