ছুটি কাটিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে গত বৃহস্পতিবার মাঠে ফেরেন তামিম। এনসিএলে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে খেলছেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন পর তামিমের ফেরাটা মধুর হতে দেননি মাহমুদউল্লাহ। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তামিমকে ৩০ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসেও তামিমের বাধা হলেন মাহমুদউল্লাহ। এবার ফিরিয়ে দিলেন ৪৬ রানে।

বিশ্বকাপের ব্যর্থতা শেষে দলের দায়িত্ব নিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যান তামিম ইকবাল। কিন্তু লঙ্কায়ও চরম ব্যর্থ হন এই ওপেনার। যার জন্য নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শ্রীলঙ্কায় ব্যর্থ সফর শেষে ঘরের মাঠে টানা দুই সিরিজ থেকে বিরতি নেন তিনি। বিরতি কাটিয়ে এনসিএলে রানে ফেরার চেষ্টা করছেন এই ওপেনার। কিন্তু দুবারই তামিমকে ব্যর্থতায় ভাসালেন মাহমুদউল্লাহ।

ম্যাচের শেষ দিনে আজ রোববার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছে চট্টগ্রাম। ওপেনিংয়ে নেমে হাফ-সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তামিম। কিন্তু ৩৮তম ওভারে তামিমকে থামিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। ১১২ বল খেলে হাফ-সেঞ্চুরি থেকে চার রান দূরে থেকে সাজঘরে ফিরে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। তাঁর ৪৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা দিয়ে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৯০ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। তাতে ৬৩ রানের লিড পায় ঢাকা মেট্রোপলিস। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। চতুর্থদিন পুরো ব্যাট করে ম্যাচটি ড্রয়ের দিকে নিয়ে যায় চট্টগ্রাম। দুই ইনিংসে সমান তিনটি করে মোট ছয়টি উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে বেশ নির্বিঘ্নে খেলেন তামিম। প্রথম ওভারেই ফ্লিক করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেন। মেঘলা উইকেটে পেসাররা সাহায্য পান। শুরুর দিকে বেশ সুইং পেয়েছেন শহিদুল ইসলাম ও মেহরাব হোসেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই তামিমকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি তাঁরা। ভালোভাবে কাটিয়ে ২৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান তামিম।

কিন্তু লাঞ্চের পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৬তম ওভারে বল হাতে আক্রমণে এসে বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। অবশ্য আরেকটু সাবধান থাকলে উইকেট দিয়ে আসতে হতো না তামিমের। মাহমুদউল্লাহর শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন দেশসেরা এই ওপেনার। ফেরার আগে ১০৫ বলে খেলে ৩০ রান করেন তামিম।