যে পরীক্ষায় ফেল আশরাফুল-নাসির
আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। গত মৌসুম থেকে এনসিএলের জন্য ন্যূনতম ফিটনেস লেভেল রাখার পরীক্ষা দিয়ে খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। মূলত ‘বিপ টেস্ট’ দিয়ে বাংলাদেশে ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়।
গত মৌসুমে এনসিএলের জন্য ন্যূনতম বিপ টেস্ট স্কোর ছিল ৯। এবার সেটি ১১ করা হয়েছে। বিপ টেস্টে ‘১১’ খুব বেশি নয়। তবে বাংলাদেশে জাতীয় দলের ক্রিকেটারও অনেক সময় ১১ স্কোর তুলতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে এনসিএলে জাতীয় দলের বাইরের অনেক ক্রিকেটার খেলেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত ম্যাচ খেলার অভাবে ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন না। আজ মঙ্গলবার বিপ টেস্টে যে কারণে উত্তীর্ণ হতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল।
জানা যায়, বিপ টেস্টে ৯.৬ পেয়ে পাস করতে ব্যর্থ হয়েছেন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ এই সেঞ্চুরিয়ান। ফলে আবার পরীক্ষা দিতে হবে তাঁকে। ১০.৯ পয়েন্ট পেয়ে উৎরাতে পারেননি স্পিনার আরাফাত সানিও।
ফেল করেছেন অনেক তারকা ক্রিকেটারও। আবদুর রাজ্জাক ও নাসির হোসেনের মতো তারকা ক্রিকেটারও পাস করতে পারেননি।
অবশ্য বিপ টেস্ট নিয়ে এখনই ক্রিকেটারদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আরো কয়েক ধাপে বিপ টেস্ট দেওয়ার সুযোগ থাকছে ক্রিকেটারদের। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘৪ তারিখে একটি সুযোগ আছে। এই তিন-চার দিন চেষ্টা করলে আরো উন্নতি করতে পারব আশা করি। যদি ১০.৪ কিংবা ১০.৫ হতো, তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হতো। আমাকে টেস্টে ৯.৭ দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে আরো সাত-আট দিন ভালো অনুশীলন করলে উন্নতি করা যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই পদ্ধতিটি আমি মনে করি ইতিবাচক। এটাই হওয়া উচিত। এভাবে আমাদের ফিটনেস লেভেলটা উন্নতি হবে। কারণ, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কিন্তু প্রথম স্পেল এক ধরনের হবে, দ্বিতীয় স্পেল আরেক ধরনের। আবার তৃতীয় স্পেল অন্য ধরনের।’
আজ ১১.১ নিয়ে বিপ টেস্টে পাস করেছেন পেসার আবু হায়দার। জাহিদুজ্জামান ১২.৯ ও সৈকত আলী পেয়েছেন ১১.৪। এ ছাড়া মার্শাল আইয়ুব ১১.৪, শামসুর রহমান ১১.৩, আল আমিন জুনিয়র ১১.৩, মেহেদি মারুফ ১১.৮, শুভাগত ১১, অপু ১১.১ এবং জুবায়ের লিখন ১১.২ পয়েন্ট পেয়ে পাস করেছেন।