এখনো মেনে নিতে পারছেন না কোহলি!
ধারাবাহিকতার নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। অনেক রেকর্ড ভাঙাগড়ার হাতছানি তাঁর সামনে। বিশ্বকাপ চলাকালীন ২০ হাজার আন্তর্জাতিক রানের গণ্ডী পেরোন তিনি। তাঁর আগে কেউ এত দ্রুত এই রকের্ড করতে পারেননি, এমনকী শচীন টেন্ডুলকার অথবা ব্রায়ন লারাও না। ওয়ানডে ক্রিকেটে এরই মধ্যে ৪১টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তাঁর; টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ডও ভাঙতে চলেছেন তিনি। ৪৫২ ইনিংস খেলেছিলেন টেন্ডুলকার, যেখানে কোহলি খেলেছেন মাত্র ২২৮টি।
কী রহস্য এই সাফল্যের? টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কোহলি বলেন, ‘প্রতিদিন নতুন করে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হয়। একই কাজ বারবার করতে হয়, কারণ এ ছাড়া ধারাবাহিকভাবে সফল হওয়ার আর কোনো উপায় নেই। খুব কঠিন তো বটেই, সেদিক থেকে ধারাবাহিকতা খুব বোরিংও।’
চাপের মুখে বারবার সফল হওয়ারও একমাত্র উপায় পরিশ্রম। “যত বড় খেলোয়াড়ই হোক, প্র্যাক্টিসের সময় ওরা প্রতিটা শট বারবার মারতে থাকে, তা সে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়নই হোক বা অন্য কেউ। এটা করে গেলে হাজার চাপের মুখেও অভ্যেসবশত ঠিক শটই বেরোবে।’
আর কয়েকমাসের মধ্যে একত্রিশে পড়বেন কোহলি। দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান এখন তিনি। শুধু রান করা নয়, তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখানোর, সাহায্য করার দায়িত্বও এখন তাঁর। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করায় কোহলি জানালেন যে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে বকাঝকার কোনো চল নেই। দলের প্রত্যেক সদস্যের অধিকার আছে অন্য যেকোনো কারুর সঙ্গে যেকোনো ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলার।
আমাদের ড্রেসিংরুমে সবাই সবাইকে সব কথা বলতে পারে বলে জানান কোহলি, ‘আমি তো ওদের গিয়ে বলি, দেখো, আমি এই-এই ভুলগুলো করেছি, তোমরা যেন আবার করে বোসো না। আমি সবাইকে আত্মবিশ্বাস জোগানোয় বিশ্বাসী। চেষ্টা করি যাতে সবাই মন খুলে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে পারে। কেউ ঘেঁটে আছে দেখলে তবেই গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলি, বোঝানোর চেষ্টা করি ’
সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া এখনো মেনে নিতে পারেননি কোহলি, ‘ভারতীয় দল তেমন কিছু ভুল করেনি। তবে সেমিফাইনালে ভারতের চেয়ে ভালো খেলে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।’