অন্তর্দ্বন্দ্বই বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার কারণ!
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে এক রকম ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় দল। শেষ চার থেকেই বিদায় নেয় তারা। কী ছিল ভারতের এই ব্যর্থতার কারণ? ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবর, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই কোহলিদের এই ব্যর্থতা।
এর মধ্যেই খবর, রোহিত শর্মা নাকি ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন বিরাট কোহলিকে। যা নিয়ে উসকে দিয়েছে নয়া প্রশ্ন, সত্যি বিরাট-রোহিতের মতানৈক্য রয়েছে কী?
বিরাট কোহলি-রবি শাস্ত্রীর সুনজরে থাকা ক্রিকেটাররাই প্রথম একাদশে নিশ্চিত থাকতেন অধিকাংশ সময়। বিদ্রোহীদের নেতা ছিলেন রোহিত শর্মা। কোহলির প্রতি আনুগত্যের কারণেই নাকি দলে সুযোগ পেতেন যুজবেন্দ্র চাহাল, বিজয় শঙ্কর এবং লোকেশ রাহুলের মতো ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে আম্বাতি রায়াডুদের মতো ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়া পিছনে নাকি এই দ্বন্দ্ব।
দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ এ ব্যাপারে বলেন, ‘ওদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। রোহিত মাঝেমধ্যেই আলোচনার জন্য কোহলির কাছে ছুটে যায়। একে অন্যের দক্ষতা নিয়ে দারুণ শ্রদ্ধাশীল। কোহলি দারুণভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। খুব দ্রুত কোহলি একজন অধিনায়ক হিসেবে পরিণত হয়ে উঠছে। কোহলির প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে রোহিতের।’
মুম্বই মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিত শর্মা নাকি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন অধিনায়কের স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে। যদিও কোহলির ফলোয়িং লিস্টে এখনো আছেন রোহিত শর্মা, রীতিকা সাজদে।
কোহলি-রোহিতের দ্বন্দ্ব বেশ কয়েকবছরের পুরোনো। ঘটনার শুরু রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান যখন একটি স্পনসর সংস্থা ছেড়ে দেন যে সংস্থার প্রধান ছিলেন বিরাট কোহলি। বিষয়টি এতদিন চাপা ছিল।
সেমিফাইনালে দলের বাজে হারই পরিস্থিতি বদলে গেছে। বেরিয়ে আসে দুই তারকার অন্তর্দ্বন্দ্ব।