উত্তেজনার ম্যাচে আবাহনীকে হারাল শেখ জামাল

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তৃতীয় পরাজয়ের দেখা পেল আবাহনী লিমিটেড। টানটান উত্তেজনার এক ম্যাচে আজ তাদের তিন উইকেটে পরাজিত করেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। সাভারের বিকেএসপি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে ২১১ রান করে আবাহনী। জবাবে তিন উইকেট হাতে রেখে ২১৫ রান করে শেখ জামাল।
বিকেএসপিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান। আবাহনীকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বল তুলে দেন জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া নাসির হোসেনের হাতে। ডানহাতি অফস্পিনে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে চমকের স্বার্থকতা দেখান নাসির। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন তিনি। এ সময় মাত্র ১৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আবাহনী। তবে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলীয় ৭৪ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান ৩৩ রান করা মিঠুন।
তবে অধিনায়কোচিত ইনিংসে দুর্দান্ত এক শতরান তুলে নেন মোসাদ্দেক। ১৩৯ বলে ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ১০১ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষদিকে মাশরাফি মুর্তজা ও আবদুল্লাহ আল মামুনের বিশোর্ধ্ব দুটি ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের পুঁজি পায় আবাহনী। বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন নাসির। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানি নেন দুটি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২ রানে হাসানুজ্জামান ও ইলিয়াস সানিকে ফিরিয়ে দেন আবাহনীর দুই স্পিনার সানজামুল ও নাজমুল ইসলাম। তবে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের ৩০ এবং ভারতীয় ব্যাটসম্যান অনুস্তাপ মজুমদারের ৫৬ রানের ইনিংসে জয়ের কক্ষপথে ফিরে শেখ জামাল। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দারুণ খেলেন নাসির হোসেন। মিডলঅর্ডারে ৫৬ বলে ৪৫ রানের সময়োপযোগী একটি ইনিংস উপহার দেন ডানহাতি অলরাউন্ডার। একপর্যায়ে তিন উইকেট হাতে রেখে ৩২ বলে ৩৩ রান প্রয়োজন পড়ে জামালের। তবে লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার তানবির হায়দার অপরাজিত ৩৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ব্যাটে-বলে অল রাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হন শেখ জামালের নাসির হোসেন।