হঠাৎ চোটে আক্রান্ত মিরাজ!
এই কিছুদিন আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারকা স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। কদিন ধরে সময়টা ভালোই কাটছিল তাঁর। মাঠে ফিরেই আবার পেলেন দুঃসংবাদ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে নেমে চোটে আক্রান্ত হন তিনি। আজ রোববার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে ব্যথা পান মিরাজ। ব্যথা পাওয়ায় আর খেলতে পারেননি এই তরুণ অলরাউন্ডার। বাধ্য হয়েই মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে।
এ ব্যাপারে বিসিবির চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সাধারণ ব্যথা মনে হচ্ছে। আগামীকাল (সোমবার) আঙুলের অবস্থা আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে আমার কাছে চোটটা তেমন বড় বলে মনে হচ্ছে না। ’
নিজের এই চোটের দিনে মিরাজের দল আবাহনী বড় ব্যবধানে হেরেছে রূপগঞ্জের কাছে। আবাহনী প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২২ রান করে। জবাবে রূপগঞ্জ চার উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ম্যাচে ব্যাট-বল, দুই বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছেন মিরাজ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আবাহনী। দিনের প্রথম বলেই ওপেনার জহিরুল ইসলামের উইকেট হারিয়ে বসে। সে ধারাবাহিকতায় মাত্র ২৯ রানের পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এই অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠতে না পারায় মাত্র ১২২ রানেই ইনিংস গুটিয়ে নেয় আবাহনী।
দলের এই বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখান আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৮৮ বলে ৪০ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলেও দলের বিপর্যয় এড়াতে পারেননি। অন্যরা যখন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত, তিনি তখন একপাশ আগলে রেখেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ মোহাম্মদ মিঠুনের, ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। এ ছাড়া আর কেউই খুব একটা ভালো করতে পারেননি।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার শুভাশীষ রায় ৩৭ রানে তিনটি, মোহাম্মদ শহীদ ১১ এবং নাবিল সামাদ ১৫ রানে দুটি করে উইকেট নিয়ে আবাহনী ব্যাটসম্যানদের বড় সংগ্রহে বাধা হয়ে দাঁড়ান।
ছোট লক্ষ্য, তাই জয়ে পৌঁছাতে রূপগঞ্জকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। মাত্র ২৬.৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের উল্লাস করে তারা। ওপেনার মেহেদী মারুফ সর্বোচ্চ ৮৫ বলে ৫৯ রান করেন। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন রূপগঞ্জ পেসার শুভাশীষ রায়।