বিশ্বকাপের আগে আফগানিস্তানের অধিনায়ক বদল
বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে আফগানিস্তানের অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আসগর আফগানকে। শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক টুইট বার্তার মাধ্যমে আসগরকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ২০১৫ সাল থেকে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি- ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই আফগানদের নেতৃত্বে ছিলেন আসগর। তাঁর পরিবর্তে তিন ফরম্যাটে আলাদা তিনজনকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
আফগানিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২৮ বছর বয়সী বোলিং অলরাউন্ডার গুলবদন নাইবকে। ২০১১ সালে কানাডার বিপক্ষে অভিষেকের পর আফগানদের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫২টি ওয়ানডে ও ৩৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নাইব। ওয়ানডেতে পাঁচটি অর্ধশতক সহ আট শতাধিক রান করার পাশাপাশি ৪০টি উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের নেতৃত্ব সামলাবেন চ্যাম্পিয়ন স্পিনার রশিদ খান। এর আগে একবার আফগানদের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে রশিদের। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগস্পিনার রশিদ আফগানদের হয়ে দুটি টেস্ট ও ৫৭টি ওয়ানডের পাশাপাশি ৩৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ছাড়াও বিশ্বের সবকয়টি শীর্ষস্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিজের যাদু দেখিয়েছেন এই ডানহাতি স্পিনার।
এদিকে, দলটির টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। এখনো পর্যন্ত আফগানদের খেলা দুটি টেস্ট ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন ২৫ বছর বয়সী রহমত। দেশের হয়ে ৫৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে তিনটি সেঞ্চুরি ও ১৩টি অর্ধশতক করেছেন তিনি। কিছুদিন আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ৯৮ ও ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন রহমত।
অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া আসগর আফগান দেশের হয়ে দুটি টেস্ট, ৯৯টি ওয়ানডে ও ৫৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৯ সালে আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। ২০১৫ সালে মোহাম্মদ নবীর বদলে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।