দুই নাঈমের সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জের জয়

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আজ সাভারের বিকেএসপি মাঠে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ২৩ রানে পরাজিত করে রূপগঞ্জ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক নাঈম ইসলামের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৫৭ রানের বিশাল স্কোর করে রূপগঞ্জ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত লড়াই করা শাইনপুকুরের ইনিংস এক ওভার বাকি থাকতেই ৩৩৪ রানে থেমে যায়।
বিগ স্কোরিং এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রূপগঞ্জের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। মাত্র ১৭.২ ওভারে ১৩২ রান তোলা দলটির প্রথম উইকেট পড়ে ৪৭ বলে সাতটি চারে ৪৮ রান করা ওপেনার আজমির আহমেদ আউট হলে। তবে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম মারকাটারি ব্যাটিংয়ে তুলে নেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ১০৮ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২২ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সাথে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর ভারতীয় ঋষি ধাওয়ানের সাথে আরো ৭৩ রান যুক্ত করেন অধিনায়ক নাঈম। শেষদিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেটের পতন হয় রূপগঞ্জের। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৯৮ বলে ১১টি চার ও দুটি ছক্কায় ১০৮ রান করেন অধিনায়ক নাঈম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ৩৫৭ রানের পাহাড়সম স্কোর পায় তাঁর দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উদয় কৌলের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩.৪ ওভারে ১০৪ রান তুলে ফেলেন সাব্বির হোসেন। ২৯ রান করা কৌলের আউটের পর ওয়ানডাউনে নামা আফিফ হোসেনও ১৫ রান করে দ্রুত বিদায় নেন। দলীয় ১৬৪ রানে ফিরে যান ৮৭ বলে আটটি চার ও তিন ছক্কায় ১০০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলা ওপেনার সাব্বির। এরপর ৪১ রান যোগ করতেই আরো দুই উইকেট হারালে অনেকেই ভেবেছিলেন শাইনপুকুরের পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু চার নম্বরে নামা তৌহিদ হৃদয় হাল ছাড়েননি। সাত নম্বরে নামা সোহরাওয়ার্দী শুভর সাথে ৮০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জমিয়ে ফেলেন। দলীয় ২৮৫ রানে আউট হন সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলের স্কোর ৩০০ তে পৌঁছালে ৮১ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৩ রান করা তৌহিদ আউট হয়ে যান।
এরপর ১০ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ২২ রান করা সুজন হাওলাদার চেষ্টা করলেও ২৩ রান দূরে থাকতেই ৩৩৪ রানে থেমে যায় শাইনপুকুরের ইনিংস। রূপগঞ্জের বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ ৫১ রানে নেন তিনটি উইকেট।