বাঁচা-মরার ম্যাচে চিটাগংয়ের ছোট সংগ্রহ

হারলেই বিদায়। বিপিএলের শেষ চারের লড়াইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সতর্কভাবেই শুরু করেছিল চিটাগং ভাইকিংস। তাই অনেকেই আশা করেছিলেন একটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়বে তারা। না, তা পারেনি মুশফিকুর রহিমের দল। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৩৫ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় তারা।
আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি চিটাগং। আফগানিস্তানের আহমেদ শেহজাদ দেশে ফিরে যাওয়ায় এই ম্যাচে ভাইকিংসদের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে নামেন নতুন সেনসেশন ইয়াসির আলি। কিন্তু পেসার রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আট রান করে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট চালিয়ে খেলতে থাকেন। তাঁর ২৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটা থামে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। ব্যাটিং প্রান্তে থাকা সাদমান ইসলামের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান তিনি।
তবে চিটাগংয়ের বড় স্কোর করার স্বপ্ন ভেঙে যায় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের আউটে। ব্যক্তিগত আট রানে ইনিংসের দশম ওভারে সুনীল নারিনের বলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান ভাইকিংস অধিনায়ক। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে নারিন আবার ফিরিয়ে দেন সাদমানকে। অযথা বড় শট খেলতে গিয়ে লং অফে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮১ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চিটাগং।
ষোড়শ ওভারে দলীয় ১০৩ রানে ঢাকার বাঁহাতি পেসার কাজী অনিকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান দাসুন সানাকা। তবে পরের ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে চিটাগংকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দেন সুনীল নারিন। উইকেটের আশপাশে চারজন ফিল্ডার দিয়ে ঘিরে রেখে চাপ সৃষ্টি করলে দুই দক্ষিণ আফ্রিকান রবি ফ্রাইলিংক ও ভিজয়েন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। আর কোনো ব্যাটসম্যান উল্লেখযোগ্য স্কোর না পেলে ১৩৫ রানে থামে ভাইকিংসদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪০ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
১৫ রান খরচায় চারটি উইকেট নিয়ে ঢাকার সবচেয়ে সফল বোলার সুনীল নারিন। কোনো উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে দুর্দান্ত এক স্পেল করেছেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।