এমন মারাত্মক সংকটে আগে কখনো পড়েনি ফিফা। গত মে মাস থেকে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে জর্জরিত ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এখন কার্যত নেতৃত্ববিহীন। সেপ ব্ল্যাটার সাময়িকভাবে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ইসা হায়াতু। আগামী সপ্তাহে একটি জরুরি সভা আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ফিফা। 

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা শুক্রবার ফিফার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কাছে চিঠি লিখে নির্বাহী কমিটির বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ করেছেন। আল খলিফা বলেছেন, ‘আমরা একটা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির মুখে পড়েছি। আর এ জন্যই আমাদের বৈঠক করা দরকার। শুধুমাত্র একসঙ্গে থাকতে পারলেই আমরা এই ধরনের সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।’ আগামী সপ্তাহে এই বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইসা হায়াতু।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল সুইস কর্তৃপক্ষ। তার পর থেকেই ভীষণ চাপের মুখে ছিলেন ১৯৯৮ সাল থেকে ফিফা সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলা ব্ল্যাটার।

ফিফার চারটি প্রভাবশালী স্পন্সরও তাঁর পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছিল গত সপ্তাহে। 

তবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্ল্যাটার। কিন্তু ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেননি ৭৯ বছর বয়সী এই সুইস। বৃহস্পতিবার ফিফার নীতিনির্ধারক কমিটি তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ব্ল্যাটার ও উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিকে।

ব্ল্যাটার অবশ্য চুপচাপ বসে থাকছেন না। এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন তিনি। ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে ফিফার নীতিনির্ধারক কমিটির কাগজপত্র দেখতে চেয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।