তীরে এসে তরী ডুবল মুশফিকের চিটাগংয়ের!
আগের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের রানের পাহাড়ে চাপা পড়েছিল চিটাগং ভাইকিংস। মাশরাফির দলের রেকর্ড সংগ্রহ ২৩৯ রান টপকে জিততে পারেনি তারা। এবার তাদের সামনে বড় সংগ্রহ ছুড়ে দিয়েছে রাজশাহী কিংসও। এই ম্যাচেও অসাধ্য সাধন করে জয় তুলে নিতে পারেনি তারা। নাটকীয়ভাবে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী, তারা জিতেছে ৭ রানে।
প্রথমে ব্যাট করে রাজশাহী গড়েছিল ১৯৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাবে চিটাগং জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান হারিয়ে দিলেন তাদের। তাই ১৯১ রানে গিয়ে থামে চিটাগংয়ের ইনিংস।
অবশ্য ইনিংসের শুরুতে চিটাগংকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন আফগান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ। ২২ বলে ৪৯ রানের একটি চমৎকার ইনিংস খেলেন তিনি।
এর পর ইয়াসির আলী ও সিকান্দার রাজা চমৎকার দুটি ইনিংস খেলেন। ইয়াসির ৫৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শেষ দিকে সিকান্দার ১৫ বলে ২৯ রান করেন।
এক পর্যায়ে অবস্থা এমন হয়েছিল, মনে হয়েছিল চিটাগং সহজেই জিতবে। কাটার-মাস্টার বল হাতে এসে সব চিত্র পাল্টে দেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তারা মাত্র পাঁচ তুলতে পেরেছে। তাই আরেকটি হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছড়াতে হয়েছে তাদের।
এর আগে রাজশাহীর এই বিশাল সংগ্রহ গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন জনসন চার্লস। ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান উদ্বোধনীতে নেমে ৫৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। ৪৩ বল খরচায় পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। পরে লরি ইভান্স (৩৬) ও সৌম্য সরকার (২৬) দুটি উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন।
তবে শেষ দিকে দলের সংগ্রহ বড় করতে রায়ান টেন ডেসকাটে ও ক্রিস্টিয়ান জনকার দারুণ ভূমিকা রাখেন। ডেসকাটে ১২ বলে ২৭ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। জনকার ১৭ বলে ৩৭ রান করেন।
অবশ্য চিটাগং এখনো পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই আছে। এর আগে খেলা ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে তারা। আর ১০ ম্যাচে ১০ পায়েন্ট নিয়ে রাজশাহী পঞ্চম স্থানে রয়েছে।