চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শোচনীয় হার
সময়টা ভালো কাটছে না জার্মানির। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা তিন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি খেলোয়াড়রা। এমনকি উয়েফা নেশনস লিগে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসও একহাত নিয়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। আমস্টারডামে গতকাল শনিবার জার্মানিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
২০১৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কাছে। জার্মানির সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করা জোয়াকিম লোয়ের কোচিং জীবনেও এমন কলঙ্কের দাগ প্রথম। নেদারল্যান্ডস এই প্রথম জার্মানিকে তিন কিংবা তার বেশি গোল ব্যবধানে হারিয়েছে।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছিল জার্মানি। তবে বল নিয়ন্ত্রণ এবং আক্রমণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল না নেদারল্যান্ডসও। নেদারল্যান্ডস প্রথম গোল পায় ৩০ মিনিটে, ভার্জিল ফন ডিকের হেড থেকে। বারে লেগে ফিরে আসা শটকে দুর্দান্ত এক হেডে জালে জড়ান তিনি। তবে জার্মানির ভাগ্য খারাপই বলতে হয়। গোলের অনেকগুলো সম্ভাবনা তৈরি করেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার চেষ্টায় বিভোর ছিল জার্মানি। তবে ভাগ্য এবং শক্তিশালী নেদারল্যান্ডস রক্ষণভাগের কাছে অসহায় মনে হয়েছে তাদের। বারবার আক্রমণে উঠে আসছিল নেদারল্যান্ডস। এবার সাফল্য আসে মেমফিস ডিপের হাত ধরে। জর্জিয়ানো উইনালডামের পাস থেকে দুর্দান্ত এক শট আটকাতে পারেননি জার্মানির গোলরক্ষক। গোলরক্ষকের পায়ে লেগেই জালে জড়িয়েছে বল। মূল খেলার শেষ মিনিটে আরেকটি গোল করেন স্ট্রাইকার উইনালডাম। ডি-বক্সের ভেতরে তিনজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলে শট করেন তিনি। গোলরক্ষকের নাগালের অনেক বাইরে দিয়েই সেই বল জালে জড়িয়েছে। পরে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই খেলা শেষ করে নেদারল্যান্ডস।
শেষ প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচে জার্মানির হয়ে গোলটি করেছিলেন টনি ক্রুস। সুইডেনের বিপক্ষে রাশিয়া বিশ্বকাপে সেই গোলে জিতেছিল জার্মানি। তবে পরে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়ে তারা। এমনকি নেশনস লিগে ঠিক আগের ম্যাচেই ফ্রান্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে লোয়ের দল। অবশ্য গত ৯ সেপ্টেম্বর পেরুকে ২-১ ব্যবধানে জার্মানি হারিয়েছিল, তবে সেটিও প্রীতি ম্যাচে।
আগামী মঙ্গলবার প্যারিসে আবারও ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে জার্মানি। ক্রুসদের গোলখরা সেখানে কাটবে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।