আমাদের ‘রামোস’ তপু বর্মণ
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের যেকোনো ম্যাচ মানেই দর্শকদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা কাজ করে। সেই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায় ১-০ গোলে। সেই একটি গোল এসেছে তপু বর্মণের কাছ থেকে। দারুণ এই গোলটি করে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তাই অনেকের মুখেই বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশের ‘রামোস’ তপু বর্মণ।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের থ্রো গোলের কাছাকাছি গিয়ে পড়ে বল। সেই বলকে দারুণ হেডে প্রতিপক্ষের জালে জড়ান তপু। তাই দলকে জয়ের ইল্লাসে মাতিয়ে তোলেন।
তপু খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে। তাই অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায় দৌড়ে এসে হেড করে জয়ের গোলটি করতে সমর্থ হন তিনি। তবে, আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, স্প্যানিশ রিয়াল মাদ্রিদ তারকা সার্জিও রামোসের সঙ্গে তপুর অনেক কিছুই মিলে যায়। যেমন তপু এবং রামোস- দুজনই ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন। দুজনেরই জার্সি নম্বর ‘৪’। রামসের মতো দলের প্রয়োজনে গোলও করতে সমর্থ তপু। খুব একটা সুযোগ না পেলেও সাফের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন তপু। ২০১৫ সালেও ভুটানের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একটি গোল করেন এই ডিফেন্ডার। তবে এই ডিফেন্ডিং পজিশন থেকে হঠাৎ উঠে গিয়ে আক্রমণ ভাগ তছনছ করে গোল দিয়ে আসা, এমনটি ভক্তরা দেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক রামোসের খেলায়। তাই তপুকে বাংলাদেশের রামোস উপাধি দিয়েছেন অনেকেই।
তপু বর্মণ বর্তমানে ক্লাব পর্যায়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলছেন। তাঁর প্রথম ক্লাব অভিজ্ঞতা শুরু ঢাকা মোহামেডানের হয়ে। পরবর্তী সময়ে শেখ রাসেল ফুটবল ক্লাব এবং ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলেছেন এই তরুণ ফুটবলার। বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে। মাঠে অবশ্যই সেই চিরচেনা তপুকে দেখতে চাইবেন ভক্তরা।